ভারতবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, প্রিয়া দাস: বর্তমান সমাজে মোবাইল ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। মোবাইল ছাড়া আমরা আমাদের একটা দিনও কল্পনা করতে পারিনা। ঘড়ি থেকে শুরু করে ক্যালেন্ডার সব কাজই এখন মোবাইলেই সম্ভব। এছাড়াও মেইল পাঠানো, নানা রকম পড়াশোনা মোবাইলেই হয়। দৈনন্দিন জীবনের সাথে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সুতরাং এই মোবাইলে যদি চার্জ না থাকে তাহলে সেটি হতাশার বিষয়। তবে আর নয়, এবার পাওয়ার ব্যাঙ্ক ছাড়াও মোবাইল চার্জ করা সম্ভব।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসম্প্রতি এমন এক আবিষ্কার লক্ষ্য করা গেছে যাতে শুধুমাত্র আপনি হেঁটে হেঁটেই মোবাইল চার্জ করতে পারবেন। এই আবিষ্কারটি করেছে ১৯ বয়সী দুই বালক। তাদের নাম হল মোহক ভাল্লা ও আনন্দ গঙ্গাধারণ। এরা দুজনেই দিল্লিতে বসবাস করে।
আর কিছুদিন অপেক্ষা করার পরই আমরা হয়তো এই আবিষ্কারটি হাতে পেয়ে যাবো।
তারা যখন দশম শ্রেণীতে পড়তো তখনই তারা কিছু নতুন করার কথা ভেবেছিল। এবং তখন তাদের মাথায় এই আবিষ্কারের কথা আসে। আর এই আবিষ্কারের প্রথম মডেল তৈরি করতে তাদের সময় লেগেছিল মাত্র তিন মাস। মডেলটিতে তারা কিছু সমস্যা দেখতে পায় এবং সমস্যা গুলি তারা সমাধান করে ফেলে। তারা এটাও জানিয়েছেন যে সাধারন চার্জারে মোবাইল চার্জ দিতে যতটুকু সময় লাগে তার চেয়ে অনেক কম সময়ে এই চার্জারটির মাধ্যমে মোবাইল চার্জ করা সম্ভব।
এই যন্ত্রটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করে। এই যন্ত্রটির অবস্থান হল গোড়ালির নীচে।
এই চার্জার এর দুটি অংশ। ডায়নামো ও বাফার। আমরা যখন হাঁটাচলা করি তখন আমাদের গোড়ালিতে চাপ সৃষ্টি হয় ।এবং তার ফলে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা ডায়নামো কে ঘুরতে সাহায্য করে। ডায়নামো ঘুরলে একটি বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন করে যা মোবাইল চার্জ করতে সক্ষম।
তাদের তৈরি করা এই চার্জারটির আকার অনেকটা বড়ো।ফলে সেটি পায়ে পড়তে অসুবিধা দেখা দেবে।এর দামটাও অনেক বেশি। এই অসুবিধা নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনা করছে। খুব তাড়াতাড়ি এই চার্জার বাজারে আসতে চলেছে।