তিন চার দিন ধরে বাংলায় কোভিড সংক্রমণ চারগুণ লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যাক্টিভ কেস দেখে চিকিৎসকদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ। এর ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আজ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সাংবাদিক বৈঠকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে একাধিক বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল ৩ জানুয়ারি থেকে কার্যত আংশিক লকডাউনের পথে ফের হাঁটতে চলেছে গোটা বাংলা।
মুখ্যসচিব আজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ব্রিটেন থেকে কোনও বিমান এই রাজ্যের আসাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, দুয়ারে সরকার প্রকল্প ফের শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি। এছাড়াও তিনি বলেছেন সমস্ত শপিং মল, রেস্তোরাঁ, পঞ্চাশ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে পরিষেবা দেবে। লোকাল ট্রেন, মেট্রোর ক্ষেত্রেও পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে। আর লোকাল ট্রেন চলবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত, তবে দূরপাল্লার ট্রেন আগের নিয়মে চলবে।
অন্যদিকে আগামীকাল থেকে সমস্ত স্কুল কলেজ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিসে পঞ্চাশ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে কাজ করতে হবে এবং একই সঙ্গে আগামীকাল থেকে বন্ধ থাকবে সমস্ত সুইমিং পুল, স্পা, সেলুন, আর জিম। আর রাজ্যজুড়ে রাত্রি ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে নৈশ কার্ফু। আর কলকাতাতে শপিং মলগুলিও খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাত্র পঞ্চাশ জন নিমন্ত্রিতরা উপস্থিত থাকতে পারেন। আগামীকাল থেকে চিড়িয়াখানা সহ রাজ্যের সমস্ত বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
গত চার দিনে রাজ্যে প্রায় চার গুণ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই এর জন্য ক্রিসমাসের এও লাগামছাড়া মানুয়াগের ভিড়কে দায়ী করেছেন। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী করেছেন রাজ্য সরকারের এই গা ছাড়া মনোভাবকে। তাঁদের মতে এই কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জানানো উচিত ছিল।