রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক। তাই এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে শুরু নাবালকদের টিকাকরণ। পনেরো থেকে আঠারো বছর বয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সকলকে দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন। এই মুহূর্তে কোউইন পোর্টালে জোরকদমে চলছে ভ্যাক্সিনেশনের জন্য রেজিস্ট্রেশন। রাজ্যে পনেরো থেকে আঠারো বছর বয়সি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে স্কুলে। ইতিমধ্যে কলকাতার ১৬টি স্কুল চূড়ান্ত করে নিয়েছে পুরসভা।
একইসঙ্গে ৩৭ কোভ্যাক্সিন সেন্টার থেকেও দেওয়া হবে করোনার প্রতিষেধক। ১৫-১৮ পর্যন্ত বয়সের তালিকায় নাম থাকা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে যারা স্কুলছুট বা স্কুলে পড়ে না, এমন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা পুরসভার কেন্দ্রে পুরসভার ৩৯টি টিকাদান কেন্দ্রের মধ্যে যে কোনও একটিতে যেতে হবে আর সেখানে দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলে মেয়ের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৯ হাজার। দু’ সপ্তাহের মধ্যে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
এক নজরে দেখে নিন কীভাবে হবে ১৫- ১৮ বছরের ভ্যাক্সিনেশনের রেজিস্ট্রেশন?
১.২০০৭ সাল বা তার আগে জন্ম হতে হবে।
২. ফটো আইডি প্রমাণপত্র চিহ্নিত করতে হবে।
৩. আধার বা প্যান কার্ড বা পাসপোর্ট বা স্টুডেন্ট ফটো আইডি বা ইউনিট ডিজ্যাবিলিটি আইডি-র নম্বরে ফোন করতে হবে।
৪. কোউইনে ‘বুক ইয়োর স্লট’ ক্লিক করতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট মোবাইল নম্বরে ওটিপি যাবে।
৬.মোবাইলে আসা ওটিপি যথাস্থানে লিখতে হবে। নাম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ লিখুন। প্রমাণপত্রে থাকা নম্বর দিয়ে
৭. অ্যাড মেম্বার আইকনে ক্লিক করতে হবে।
৮.স্কুলছুটদের জন্য পুরসভার কেন্দ্রে ভ্যাক্সিনেশন
প্রসঙ্গত, যাঁরা স্কুল ছুট বা স্কুলে পড়ে না, এমন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা পুরসভার কেন্দ্রে দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভার ৩৯ টি টিকাদান কেন্দ্রের যে কোনও একটিতে তাদের যেতে হবে আর নিজেদের আধার কার্ড দেওয়া হবে। মঙ্গলবার, ৫০টি স্কুল থেকে ১৫ থেকে ১৮ বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন , ‘ ১৫ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন আমাদের এসেছে। আমাদের হাতে প্রায় দেড় লক্ষ ভ্যাকসিন হাতে আছে। ১৫ ঊর্ধ্বরা কোভ্যাকসিন নেবে। সব স্কুলে পরিকাঠামো পাওয়া যাচ্ছে না। যে স্কুলে পরিকাঠামো আছে, সেখানে রাখছি। অন্য স্কুল থেকে এনে দেওয়া হবে। একটা স্কুলে ৫০০ জনকে দেওয়া যাবে ভ্যাকসিন। ‘
এই ভ্যাক্সিন নেওয়া প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত সামান্য। তাই বাচ্চাদের এই ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর অল্প বিস্তর জ্বর আসতে পারে, গলা ব্যথা, গা হাত পা ব্যথা হতে পারে। তবে তাতে ভয় পাওয়া কিচ্ছু নেই, এগুলি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চলে যাবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে।