শেষ ডিসেম্বরে বঙ্গবাসী সেভাবে শীত উপভোগ না করতে পারলেও, জানুয়ারির এক্কেবারে প্রথম দিন থেকে গোটা বঙ্গবাসী এই কনকনে ঠান্ডায় বেশ কাঁপতে শুরু করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, এখানেই শেষ নয় তাপমাত্রার পারদ রাজ্যে আরো অনেকটাই নামতে পারে, রাজ্যের কিছু জেলাতে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। পৌষের শীতে একেবারে জমে যেতে পারে বাংলার মানুষ।
আর আবহাওয়াবিদের কথামতো রীতিমতো নামছে তাপমাত্রাএ পারদ। তবে এর মাঝে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেশকিছুটা বদলে যেতে পারে বাংলার আবহাওয়া। ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে একধাক্কায় বেশ কিছুটা রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ বাড়তে পারে এবং দেখা দিতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, বুধবার অবধি বাংলার উত্তরের এবং দক্ষিণের সমস্ত জেলায় শুস্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। কিন্তু তারপর থেকেই বদলে যাবে আবহাওয়া। চড়বে তাপমাত্রার পারদ এবং বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এদিকে আবার আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, নতুন বছরেই প্রথম মঙ্গলবার হচ্ছে সবথেকে শীতলতম দিন। আজকের দিনে তিলোত্তমাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আর বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ, ন্যূনতম ৪৩ শতাংশ। সকালের দিকে আবছা রোদ এবং রাতের দিকে আবছা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।
তবে বুধবার থেকে বাড়তে শুরু করবে রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ। বৃহস্পতিবার একধাক্কায় তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে বেশ অনেকটাই। এমনকী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কলকাতায় ও জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি প্রকার বৃষ্টিপাতও হতে পারে। আগামী দুদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা সামান্যই কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় আবহাওয়া শুকনো ও আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আর দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে।