টলিউডবাংলা সিরিয়ালবিনোদন

Dhulokona: কাজের মেয়ে থেকে সোজা গায়িকা ফুলঝুরি! দর্শকের মতে ‘গরীবের নেহা কক্কর’ লালনের প্রেমিকা

Advertisement

বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে গত বছর স্টার জলসাতে শুরু হয়েছিল বাংলা ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’। দীর্ঘদিন পর মেগা ধারাবাহিকে কামব্যাক করেছিলেন অভিনেত্রী মানালির, সঙ্গী ছিলেন ইন্দ্রাশিস, এছাড়াও এই ধারাবাহিকে রয়েছেন টেলিপাড়ার তাবড় তবড় অভিনেতারা। সাবিত্রি, বাদশা, শঙ্কর অভিনেতারা ছিলেন অভিনেতা। তবে এই ধারাবাহিক শুরুত পথটা ছিল বেশ কঠিন। লালন-ফুলঝুরিদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জি বাংলার ‘মিঠাই’। তবে মিঠাইকে সেভাবে টেক্কা না দিতে পারলেও মা কাকিমাদের একাংশের মনে ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে লালন-ফুরঝুরির ধূলোকণা।

,তবে সার্বিকভাবে কতখানি সফল হয়েছে স্টার জলসার এই ধারাবাহিক তা কিন্তু বেশ বির্তকিত প্রশ্ন। এর মাঝেই নতুন করে ট্রোলের মুখে পড়লেন ফুলঝুরি ওরফে মানালী। বস্তির দুই ছেলে-মেয়ে লালন আর ফুলঝুরির জীবনযুদ্ধের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘ধুলোকণা’। বস্তির ছেলে লালনের স্বপ্ন হল একজন বড় গায়ক হওয়ার, সে নিজে গান বাঁধে সাথে সেই গান গায়। তবে পেশায় সে একজন ড্রাইভার। এক মধ্যবিত্ত বাড়িতে ড্রাইভিং-এর চাকরি নেয় সে আর সেখানেই আগে থেকে পরিচারিকার কাজ করে ফুলঝুরি।

ঝগড়া দিয়ে শুরু হয় লালন ফুলঝুরির গল্প। তবে সময়ের সাথে সাথে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলে এই যুগল এমনকি বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল দুজনের বিয়ে কিন্তু শেষ মুহূর্তে এদের বিয়ে বানচাল করে দেয় চড়ুই। মিথ্যা বদনাম দিয়ে লালনকে পুলিশের হাতে তুলে দেবে চড়ুই এই ভয় দেখায় সে ফুলঝুড়িকে। লালনের ক্ষতির কথা ভেবে সেও বেঁকে বসে। আর ভুল বোঝাবুঝির জেরে ভেঙে যায় দুজনের প্রেমের সম্পর্ক। অভিমান,জেদ আর রাগের বশে অহংকারী আর বড়লোক চড়ুইকে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায় লালন। তারপর থেকেই অদ্ভূত রেষারেষি শুরু হয় লালন-ফুলঝুরির।

তবে এবারে গল্পে নতুন ট্যুইস্ট এনেছেন লেখিকা।
অন্যের বাড়িতে বাসন মাজা, কাপড় কাঁচা, ঘর মোছার কাজ করলেও ফুলঝুরি দারুণ গান লেখে, এই কথা আগেই জানা গিয়েছিল। তবে ফুলঝুড়িও যে দারুণ গানও গায় এটা দর্শকদের কাছে একদম নতুন। এবার লালনকে নিজের কদর বোঝাতে নিজের গানের  সুপ্ত প্রতিভাকে শান দিচ্ছে ফুলঝুরি। আর ফুলঝুড়ির এই নতু কাজে তার গুরু হয়েছে বড় মামি আর ছোট মামু আর নতুন বৌদি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ধারাবাহিকের একটি পর্বের ক্লিপিংস। আর এরপরেই সেখানেই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ল লালন-ফুলঝুরিরা। একদিকে লালনের গলায় বারংবার একটাই গান শুনে বিরক্ত দর্শক, তেমনি ফুলঝুরির গায়িকা হওয়ার বিষয়টি নিয়েই শুরু হয়েছে চরম হাসি মজা।

একজন নেটিজেন ফুলঝুরিকে ‘জবার বংশধর’ বলে কটাক্ষ করল তো আবার একজন এই উক্তি গায়িকাকে ‘গরীবের নেহা কক্কর’ বলে তুলোধনা করল। আবার কারোর মতে, ‘জীবনে গান শিখলো না ফুলঝুরি আর দু-দিন আগে হঠাৎ ওর মনে হল ও গান পারে, আর সেখান থেকে এক্কেবারে স্টেজ শো’। এখন দেখবার ‘ধুলোকণা’য় ফুলঝুরির এই গায়িকা হয়ে উঠবার টুইস্ট টিআরপি তালিকায় কতটা প্রভাব ফেলে।  এর উত্তর চলতি সপ্তাহের টিআরপি দেখলে বোঝা যাবে।

Related Articles

Back to top button