খাওয়া -দাওয়াজীবনযাপন

Kheerer Patisapta: শেষপাতে যদি পাওয়া যায় ক্ষীরের পাটিসাপটা, জমে যাবে শীতের মরসুমটা, রইল রেসিপি

Advertisement

পাটিসাপটা নামটা শুনলেই জিভে জল আসে আপামর বাঙালির। আর তা যদি ক্ষীরের হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। তবে অনেকেই নারকেলের পুর দিয়েও পাটিসাপটা খেয়ে থাকেন। বলাই বাহুল্য, তার স্বাদও হয় লাজাবাব। শীতের মরশুমে এবং পিঠে পুলির উৎসবে পাটিসাপটা অন্যতম আকর্ষণীয় মিষ্টি। শীতের দিনে খাওয়া শেষে পাতে যদি এক দুই খানা পাটিসাপটার দেখা মেলে তাহলে হাসি ফোটে সকলেরই। তবে শুধুমাত্র বাড়িতেই নয়, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একাধিক নামীদামী মিষ্টির দোকানেও তৈরি হয় পাটিসাপটা এবং তার চাহিদাও বেশ। তবে কিনে খাবার থেকে তা যদি বানানো যায় বাড়িতে তাহলে তার স্বাদ হবে অতুলনীয়।

এই শীতের মরসুমে একদিন সময় করে বাড়িতেই বানাবেন নাকি ক্ষীরের পাটিসাপটা? যাদের মনে একটু হলেও ইচ্ছা জাগছে, চটজলদি পড়ে নিন নীচের তালিকা। কি লাগবে এই সুস্বাদু মন ভালো করা মিষ্টি বানাতে?

ক্ষীরের পাটিসাপটা বানাবেন কিভাবে?

উপকরণ:
ময়দা- ৭৫ গ্রাম, চালের গুঁড়ো-১০ গ্রাম, সুজি-৩০ গ্রাম, দুধ-২৮০ গ্রাম, চিনি-৩০ গ্রাম, নুন-১/৪ চা চামচ, ঘি- ৫ গ্রাম, ক্ষীর (দোকান থেকে কিনেও আনতে পারেন কিংবা বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন)।

রেসিপি:
• প্রথমে একটি পাত্রে ময়দা, চালের গুঁড়ো, সুজি, দুধ, চিনি ও নুনু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর যে পাত্রে এই মিশ্রণটি বানাবেন, সেটি ঢাকা দিয়ে দু’ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
• এরপর গ্যাসে হালকা আঁচে চাটু কিংবা ফ্রাইং প্যান বসিয়ে সেটিকে গরম হতে দিতে হবে।
• এরপর ফ্রাইং প্যানে অল্প করে ঘি মাখিয়ে নিয়ে তাতে এই মিশ্রণটি এক হাতা করে দিয়ে তা ভালো করে ছড়িয়ে নিতে হবে।
• এরপর ঐ মিশ্রণটার উপর বানানো কিংবা কিনে আনা ক্ষীর পুর হিসেবে পরিমাণমতো দিয়ে দিতে হবে এবং খুন্তির সাহায্যে রোল করে পাকিয়ে হালকা আঁচেই উল্টেপাল্টে ভেজে নিয়ে তুলে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে পড়ে না যায়।

এরপর বাকি গুলোও ঠিক এই পদ্ধতিতেই বানিয়ে নিতে হবে। সময় করে একদিন বানিয়ে নিন এই ক্ষীরের পাটিসাপটা। যারা বাড়িতেই ক্ষীর বানিয়ে খেতে চান তাদের জন্য থাকলো ক্ষীরের রেসিপিও-
• প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণমতো দুধ বসান। হালকা আঁচে সেটিকে গরম হতে দিন।
• এরপর তার মধ্যে পরিমান মত চিনি মিশিয়ে দিন।
• এরপর একটি হাতা বা খুন্তি দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যাতে দুধ পড়ে না যায় পাত্র থেকে।
• একটাসময় পর থেকে দুধ নিজের রং পরিবর্তন করতে থাকবে। ৬০-৭৫ মিনিট পর্যন্ত নাড়তে হবে তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে হোমমেড ক্ষীর।

আর অপেক্ষা কিসের? চটজলদি বানিয়ে নিন ক্ষীরের পাটিসাপটা। শেষপাতে যদি দু’একটা পাটিসাপটার দেখা মেলে, তাহলে আর কোন কথা হবে না। শীতের দিনটাই একেবারে জমে ক্ষীর হয়ে যাবে।

Related Articles

Back to top button