Mithai: বহু বাধা পেরিয়ে অবশেষে উদ্বোধন হল ‘মিঠাই’ হাবের, অনুষ্ঠানে হাজির অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া
গত একবছর ধরে টেলিভিশনের পর্দায় মানুষের মনোরঞ্জন করে চলেছে ‘মিঠাই’। এই একটা বছর ধরে একটানা টিআরপির দৌড়ে হোক কিংবা দর্শকদের পছন্দের তালিকায় হোক এক নম্বরে রয়েছে এই ধারাবাহিক। মিঠাইতে নাম ভুমিকায় অভিনয় করছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। তার বিপরীতে রয়েছেন আদৃত রায়। এনারা ছাড়াও রয়েছেন আরো একাধিক প্রতিভাশালী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। প্রতিদিন ধারাবাহিকের পর্দায় থাকে টান টান উত্তেজনা।
বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, সদ্য উদ্বোধন হয়েছে মোদক বাড়ির মিঠাই হাবের। তবে তার জন্য মিঠাই সিদ্ধার্থকে মুখোমুখি হতে হয়েছে একাধিক সমস্যার। দাদাইয়ের সম্মান বাঁচাতে আগারওয়ালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তারা। এমনকি মিঠাইয়ের উচ্ছেবাবুকে দাঁড়াতে হয়েছিল ওমি আগারওয়ালের বন্দুকের সামনে। তবে সকলের প্রিয় তুফান মেল ও সিদ্ধার্থের বুদ্ধির জোরেই সমস্ত মহিলাদের ফিরিয়ে এনেছে তারা। সকলের সামনে মুখ উজ্জ্বল করেছে মোদক বাড়ির।
এরপর ফিরে এসে মন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মান পেয়েছে দাদাই। খুশি বাড়ির সকলেই। এর মাঝেই তাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন পর্দার রাণী রাসমণি। অনেকদিন পর টেলিভিশনের পর্দায় দিতিপ্রিয়াকে দেখতে পেয়ে খুশি তার অনুরাগীরা। আসলে জি ফাইভে ‘মুক্তি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজ আসতে চলেছে। ২৬’শে জানুয়ারি মুক্তি পেল এই ওয়েব সিরিজ। যার প্রচারের খাতিরেই এদিন মিঠাইয়ের পর্দায় দেখা মিলেছে দিতিপ্রিয়া রায়ের। মিঠাই হাবে এসে মোদক বাড়ির নতুন মিষ্টির গানে নেচে উঠেছিলেন তিনি।
তবে সেদিন ময়রাদের বাঁচিয়ে আনার সময় ওমি আগরওয়ালের সাথে হাতাহাতি হয়েছিল সিদ্ধার্থের, আর তখনই তার কনুইতে লেগেছিল সেটা খেয়াল করেছিল মিঠাই। তবে পরের দিন কিছু না খেয়ে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ায় তার উচ্ছেবাবুকে সে ফোন করে সে যেন অফিসে গিয়ে কিছু খেয়ে নেয় এবং আঘাত লাগা জায়গায় যেন কিছু ওষুধ লাগিয়ে নেয়। মিঠাইয়ের এই কথা শুনে বিরক্তি প্রকাশ করলেও মনে মনে বেশ ভালই লেগেছে সিদ্ধার্থের তা স্পষ্ট। মিঠাই নিজেও বুঝেছে সেটা। মোদক বাড়ির সকলেই বুঝতে পারছে তারা ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসছে। বোধগম্য হচ্ছে দর্শকদেরও, খুশি তারা।
তবে এরই মাঝে তোর্সা হয়ে উঠেছে অফিসের নতুন বস। অফিসের সকলের উপর রীতিমতো হুকুম চালাচ্ছে সে। কিন্তু শেষপর্যন্ত অফিসের কাজে ক্লায়েন্টদের সামনে সিদ্ধার্থের সাহায্য নিতেই হল তাকে। এরপর মিঠাই ও সিদ্ধার্থের জীবনে ঠিক কি হতে চলেছে! তা দেখার জন্য চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়।