বলিউডবিনোদন

Rakhi Sawant: ‘আমাকে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করেছে’, বিগ বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিমানী রাখির

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে রাখি সাওয়ান্তকে

Advertisement

সিনেমা, সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি আজকাল দর্শকদের মনে ধরেছে বিভিন্ন ধরনের রিয়েলিটি শো। সালমান খান পরিচালিত “বিগ বস” রিয়েলিটি শো বর্তমানে দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোতে তিনবার অংশগ্রহণ করে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের নজরে এসেছেন রাখি সাওয়ান্ত। বর্তমানে মোটামুটি সকলেই এই নামটির সাথে পরিচিত। বিগবস সিজন ১, ১৪ এবং ১৫ তে প্রতিযোগী ছিলেন এই রাখি সাওয়ান্ত। কোনদিন ট্রফি না জিততে পারলেও তাঁর খেলার ধরণ তাকে সর্বদা সোশ্যাল মিডিয়ার লাইমলাইটে নিয়ে এসেছে। বলা যেতে পারে, বিগ বস রিয়েলিটি শোতে এন্টারটেইনমেন্টের “পাওয়ার হাউস” হলেন রাখি সাওয়ান্ত।

চলতি সিজন বিগ বস ১৫ তে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি নিয়েছেন রাখি সাওয়ান্ত। সেই সাথে নিয়ে এসেছে নিজের স্বামী রিতেশকেও। তবে এই সিজনে রাখির যাত্রা খুব একটা লম্বা হল না। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। তারপর ২ দিন পর জিম থেকে ফেরার সময় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি এবং ক্ষোভ উগরে দেন জনপ্রিয় শোয়ের বিরুদ্ধে।

বিগ বস রিয়েলিটি শোয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, “বিগ বস প্রতিবছর আপনি আমাকে ডাকবেন কারণ আমাকে আপনি টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করবেন। আমি কোনো টিস্যু পেপার নয়। রক্তমাংসের মানুষ একজন আমি। এন্টারটেইনমেন্ট এর নামে কমলালেবুর যতক্ষণ রস আছে নিংড়ে খাবেন, এমনটা হয় না। আমি কোনো কমলালেবু, পাতিলেবু কিংবা টিস্যু পেপার নয়। আপনারা আমাকে শুধুমাত্র বিনোদন যোগানের রসদ মনে করেন। বিগ বস তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। আমার সাথে এমনটা করতে পারলেন কি করে। আমি ট্রফি জেতার যোগ্য দাবিদার।”

জিম থেকে বেরোনোর সময় পাপ্পারাজিদের সম্মুখীন হয়ে এমন মন্তব্য করেন রাখি সাওয়ান্ত। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে আসতেই ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের একাংশ রাখিকে সমর্থন জানিয়ে রিয়েলিটি শোয়ের কার্যকারিতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে যখন বিগ বস টিআরপি কমে যায় তখনই রাখি সাওয়ান্তকে আনা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগ বস সিজন ১৫ তে ফাইনালিস্ট হিসেবে রয়েছেন তেজস্বী প্রকাশ, করণ কুন্দ্রা, প্রতীক সহজপাল এবং শমিতা শেট্টি।

Related Articles

Back to top button