‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে যেসমস্ত জনগন আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের বাড়ি করে দিচ্ছে সরকার। কিন্তু অনেকে চালাকি করে বাড়ি সম্পূর্ণ না করেই রাজ্যের পাঠানো শেষ দু’তিন কিস্তির টাকা আত্মসাৎ করছেন। প্রতিবেশীরাও জানতে পারছেন না, বাড়িটি কে দিল, বা টাকাটা হঠাৎ তার কাছে কিভাবে এল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি জেলা মিটিংয়ে গিয়ে বাংলার বাড়ি নিয়ে দূর্নীর্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে বাড়ি পাবার যোগ্য সে পাবে, যে যোগ্য না সে পাবেনা।’ এবার থেকে রাজ্য সরকারের দেওয়া সরকারি বোর্ড লাগলে তবেই পাওয়া যাবে টাকা।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে তৈরি হওয়া বাড়িতে সরকারি লোগো সম্বলিত বোর্ড সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছবি লাগিয়ে সম্পূর্ণ হওয়া বাড়ি ও ঘরের ছবি অনলাইনে পুর দফতরে পাঠাতে হবে। তারপর দফতরের অফিসাররা সরেজমিনে তদন্তে যাবেন সমস্ত নথি নিয়ে। সব যদি ঠিক থাকে তাহলে শেষ কিস্তির ৫৮ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বোর্ডের মধ্যে কেনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছবি লাগানো থাকবে।