ভারতীয় বলিউড জগতের অন্যতম একজন তারকা শিল্পী হলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জয়ের পরে বলিউডে পা রেখেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বিশ্বসুন্দরী মঞ্চের পাশাপাশি বলিউডেও তিনি নিজের একটা আলাদা রকমের পরিচয় তৈরি করে ফেলেছেন। তবে শুধুমাত্র তার সিনেমার জন্য নয়, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কাটাছেড়া কম হয়নি। বারংবার বহু পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আজকে তার প্রেম জীবনের বিভিন্ন কথা নিয়ে আলোচনা।
রাজীব মুলচন্দানি –
নিজের সিনেমার ক্যারিয়ারের একদম প্রথম দিকে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন রাজীবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। রাজিব নিজের সময়ের বিখ্যাত একজন মডেল ছিলেন। অন্যদিকে একটা সময় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন নিজেও মডেল ছিলেন। সেই সময় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় এবং শোনা যায় তারা দুজনে নাকি একে অপরকে ডেট করেছিলেন। তবে খুব শীঘ্রই তাদের মধ্যে ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছিল।
হেমন্ত ত্রিবেদী
রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হবার পরে ঐশ্বর্য হেমন্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। জানিয়ে রাখি, হেমন্ত ত্রিবেদী একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন যখন মিস ওয়ার্ল্ডের শিরোপা জিতে নিয়েছিলেন সেই সময় তার গাউন তৈরি করেছিলেন হেমন্ত।
অক্ষয় খান্না
জানা যায়, একটা সময় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অক্ষয় খান্নার মধ্যে সম্পর্ক ছিল। একটা সময় তারা দুজন একটি সিনেমাতে কাজ করেছিলেন। তবে, খুব শিগগিরই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দুজনে একসাথে অা অব লৌট চলে এবং তালে’র মত সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। এ সমস্যা সিনেমায় অভিনয় করার সময় তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে খুব শীঘ্রই তাদের দুজনের বিচ্ছেদ হয়।
সলমান খান –
নিজের সৌন্দর্য্য এবং মাধুর্যে অভিনেত্রী ঐশ্বর্য্য রাই একটা সময়ে ভারতের সকল মানুষের মনে একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন। ঐশ্বর্যের সৌন্দর্য্যের জন্য তার জন্য ফিদা ছিলেন ভারতের আপামর জনতা। আর এই তালিকায় শামিল ছিলেন খোদ অভিনেতা সলমান খান। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির অভিনয় চলাকালীন সময় থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়। দুজনেই একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন বহুদিন। তবে হঠাৎ একদিন জানা যায়, তাদের দুজনের মধ্যে কিছু সমস্যা হয়েছে এবং তারা দুজনে একে অপরের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই। ১৯৯৭ সালে দুজনের দেখা হয়। ২০০০ পর্যন্ত তাদের দুজনের সম্পর্ক শিরোনামে ছিল। কিন্তু তাদের দুজনের সম্পর্ক খুব খারাপভাবে শেষ হয়। জানিয়ে রাখি, তাদের দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদের আগে নানান সমস্যা হয়। ঐশ্বর্য সলমনের ওপরে মারপিট, গালিগালাজ করার মত বড়সড় অভিযোগ এনেছিলেন।
বিবেক ওবেরয়
একটা সময়ে বলিউডের সবথেকে চর্চিত অভিনেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন বিবেক ওবেরয়।তার সঙ্গেও অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের সম্পর্কের খবর শোনা যায়। জানা যায় সিনেমা ক্যু হো গয়া না এর সেট থেকে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। কিন্তু সলমনের এই বিষয়টি একদম পছন্দ হয়নি। তাই তিনি বিবেককে ঐশ্বর্যের থেকে দূরে থাকার কথা বলেন। বিবেক ঐশ্বর্যের প্রেমে একেবারে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সময় ঐশ্বর্য বলেন যে, তার এবং বিবেকের মধ্যে শুধুমাত্র বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। বিবেক একবার সলমনের বিরুদ্ধে প্রেসের কাছেও কিছু মন্তব্য করে দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই ঐশ্বর্য এবং বিবেকের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে।
অভিষেক বচ্চন
২০০৪ সালে ধুম সিনেমার শ্যুটিং এর সময় অভিষেক বচ্চনের প্রেমে পড়েন ঐশ্বর্য রাই। সেই সময় তিনি তাকে মন দিয়ে বসেন এবং দুজনেই বেশ গভীর সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের দুজনের সম্পর্ক বিয়ের রূপ নেয়। ২০০৭ সালে দুজনে বিয়ে করেন এবং এখন ঐশ্বর্য বচ্চন বাড়ির বধূ। ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের একটি কন্যাসন্তানও আছে যার নাম আরাধ্যা।