42 বছর পরিশ্রম করে উপার্জন করা টাকা শেষে ইঁদুরের খাদ্য হলো।আসুন তবে জেনে নিই আসল ঘটনাটি কি
ভারতবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, প্রিয়া দাস : টাকা উপার্জন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। অনেক পরিশ্রম করার পরে টাকা উপার্জন করা যায়। ঝাড়খন্ড সরকার ৪২ বছর ধরে একটি সেচের নালা তৈরি করেছিল। এই নালাটি তৈরী করতে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা দরকার পড়েছিল ।
কিন্তু যেদিন নালাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল তার ঠিক ১৪ ঘণ্টা পরেই নালাটি কে আর দেখা যায়নি। ধুয়েমুছে গিয়েছিল।
এই নালা যদি ঠিকমতো করা হতো তাহলে এটি থেকে অনেক জায়গায় জল সরবরাহ করা সম্ভব হতো। গিরিডি,হাজিরা বাগ ও বোকারোর ৮৫ গ্রাম এই নালার সাহায্যে উপকৃত হতো। ১৯৭৮ সালে অবিভক্ত বিহারের রাজ্যপাল ছিলেন জগন্নাথ কৌশল। তিনি এই সেচ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। নালাটি গিরিডি জেলায় করা হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে মনে করা হয় এই প্রকল্পের মোট খরচ হবে ১২ কোটি টাকা। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। এবং শেষ পর্যন্ত এর খরচ দাঁড়ায় ২৫০০ কোটি টাকা।
ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রঘুবর সিং। তিনি এই প্রকল্পটি উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধন খুব ভালোভাবে হলেও উদ্বোধনের ঠিক ১৪ ঘণ্টা পরে যখন একটি নালা থেকে জল ছাড়া হল তখন নালা আর দেখা গেল না।
জল ছাড়ার কারণে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম জলে ডুবে গিয়েছিল। এই ঘটনার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকার একটি ইঁদুরের গর্ত কে দায়ী করেছেন।
অরুণ কুমার সিংহ নামে ঝাড়খণ্ডের এক আধিকারিক টুইটারে জানিয়েছেন সেচের নালা ভেঙ্গে গিয়ে যে জল বেরিয়ে গিয়েছিল তাতে কিছু গ্রাম ও অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে।