পিঠ বা ঘাড়ে ব্যথা? চিন্তা নয়, কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ব্যথা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন!
ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ বেড়েই চলেছে। অফিসে কাজের চাপ, বাড়িতে কাজের চাপ, নাজেহাল জীবন। আমাদের অনেককেই অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে বসে বসে কাজ করতে হয়। আর এর ফলে বাড়ছে ঘাড় থেকে শুরু করে পিঠ ও কোমর ব্যথা। তবে এর জন্য তো আমাদের কাজ বন্ধ করে রাখলে চলবে না। তবে আমরা যদি আমাদের অনিয়মিত জীবনযাত্রা, হাঁটাচলা ও আমাদের বসার দিকে নজর দিই তাহলে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।তাহলে চলুন জেনে নিই কি কি উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে-
১) চিকিৎসকরা বলছেন কেউ যদি টানা দুই ঘন্টা বসে থাকেন তাহলে তার শরীরের ভালো কোলেস্টেরল ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। আমরা যদি চার ঘণ্টা একভাবে বসে থাকি তাহলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই যদি এইভাবে আমরা বসে বসে কাজ করি তাহলে শুধু ঘাড়, কোমর বা পিঠে ব্যথায় বাড়বে না আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস ও হার্ট এর সমস্যা দেখা দেবে। এইজন্য সুযোগ পেলেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে দুই থেকে তিন মিনিট হেঁটে নিন।
২) এই সমস্ত ব্যথার ক্ষেত্রে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পড়লে আরাম পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই অভ্যাস করবেন না এতে বিপদ হতে পারে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন এইসব ব্যথার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করাই শ্রেয়।
৩) যদি কখনো আমাদের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেড়ানোর দরকার পড়ে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে এমনভাবে ব্যাগ নিতে হবে যাতে দুই কাঁধেই সমানভাবে চাপ পড়ে। যদি দুই কাঁধে সমানভাবে ভার না পড়ে তাহলে পিঠে ব্যথা হতে পারে।
৪) আমাদের বসা বা দাঁড়ানোর ভুলের কারণেও ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা হতে পারে। এমনভাবে বসা বা দাঁড়ানো উচিত যাতে মেরুদন্ড সোজা থাকে।
৫) যাদের এরকম ঘাড় বা পিঠে ব্যথা হয় তাদের বালিশের দিকেও নজর দিতে হবে। বালিশের উচ্চতা এমন রাখতে হবে যাতে শোবার সময় কাঁধ না বেঁকে যায়। যেমন তেমন ভাবে না শুয়ে সোজা হয়ে শোয়ার চেষ্টা করুন।