আমাদের মস্তিষ্কের কিছু গুন আসে যেমন যা আমরা খুব পছন্দ বা অপছন্দ করি তাতেই পুরো মনোযোগ আটকে থাকে। একই জন্যে মুখে ব্রণ থাকলে সব মনোযোগ সেখানেই আটকে যায়। এখন ব্রণ হওয়া রোধ করা সহজ নয়, তবে এটি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় যে যদিও ব্রণ কমে যায় কিন্তু তাদের দাগগুলি সহজে দূর হতে চায় না, এমন পরিস্থিতিতে মহিলারা প্রায়শই সেগুলি দূর করার বা হালকা করার জন্য নতুন উপায় সন্ধান করেন।
কিন্তু অনেক দামি বিউটি প্রোডাক্টেও বা বিশেষ ঔষধি প্রোডাক্ট থেকেও কোনো স্থায়ী চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে এমন একটি ফেস ওয়াশ পাউডার তৈরি করতে শেখাব, যা ব্যাবহার করে আপনার ত্বক কেবল গভীরভাবে পরিষ্কার জীহবে না বরং আপনার মুখের দাগ গুলিও হালকা করবে।
তৈরি করার উপাদান:-
১ টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়া।
১ টেবিল চামচ গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া।
১ চা চামচ মুলতানি মাটি
১ চিমটি হলুদ
প্রয়োজন মতো গোলাপ জল
তৈরির পদ্ধতি:-
যখন বাজারে সহজে কমলা পান তখন নিশ্চয়ই কমলা খেয়ে থাকেন এবং তার খোসা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে ঘরেই গুঁড়ো করে নিন। একইভাবে ঘরেই গোলাপ ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। তারপর এই মিশ্রণে মুলতানি মাটি, হলুদ এবং গোলাপ জল যোগ করুন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আলতো করে মুখে ঘষুন। এই ফেস পাউডার মুখে লাগিয়ে শুকানোর দরকার নেই। ৫ মিনিট মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে তারপর স্বাভাবিক জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
নিচে বলা সতর্কতা গুলো মেনে ব্যাবহার করুন এই ফেসওয়াশ:
১) সাবান বা ফেস ওয়াশের জায়গায় এই ফেস পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এটি প্রয়োগ করার পরে, আপনার মুখে সাবান বা ফেসওয়াশ লাগানোর দরকার নেই কারণ তাতে মুখ খুব বেশি শুষ্ক হয়ে যাবে।
২) চোখের চারপাশে বা কানের ভিতরে এই ফেস পাউডার ব্যবহার করবেন না।
৩) আপনার মুখে ইনফেকশন থাকলেও এই ফেস পাউডার ব্যবহার করা উচিত নয়।
৪) এমনকি যদি মুখে কাটা বা পোড়া চিহ্ন বা ক্ষত থাকে, তবে আপনার এই ফেস পাউডার ব্যবহার না করাই উচিত। ক্ষত সেরে গেলে অবশ্যই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
৫) এই ফেস পাউডার ত্বকে লাগালে দ্রুত স্ক্রাব করবেন না, বরং ধীরে ধীরে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
জেনে নিন এই ফেসওয়াশ পাউডারের উপকারিতা গুলি:
১) এই ফেস পাউডারে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ত্বককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে যা মুখের ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ব্যাবহারের কারণে ত্বকে বার্ধক্যজনিত সমস্যা অকালে দেখা দেবে না।
২) ত্বক ডিহাইড্রেটেড হলে এই ফেস পাউডার ব্যবহার করে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পারেন।
৩) মুখে যদি কোনো পুরনো দাগ থাকে, তাহলে এই ফেস পাউডার ব্যবহারে সেগুলোও হালকা বা দূর করা যায়।
৪) এই ফেস পাউডারে কমলার খোসার পাউডার থাকে, তাই এটি ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও কাজ করে। আসলে কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি, যা ত্বকের রং পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে।
৫) এই ফেস পাউডারটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুন রয়েছে, এটি ত্বককে কোনো রকমের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
বিজ্ঞপ্তি: এই ফেস পাউডার নিয়মিত ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাতে পারেন। আপনার যদি সেনসিটিভ ত্বক তবে প্রথমে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন এবং তারপরে এই ফেস পাউডারটি ব্যবহার করুন।