গ্রীষ্মের সময় অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন হয় এবং ধুলো রাস্তা ঘাটে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এই দুটি জিনিস মিলে মুখের উজ্জ্বলতা ম্লান করতে খুব পারদর্শী। কিন্তু সঠিক যত্ন ও প্রতিকার নিলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাওয়া যায় এবং এর জন্য মাত্র ১৫ দিন কিছু প্রচেষ্টা করতে হবে। আসুন জেনে নিই কিভাবে ১৫ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায় এবং এর জন্য কী কী ত্বকের যত্নের টিপস লাগবে।
১৫ দিনে উজ্জ্বল ত্বক কীকরে মিলবে:-
আমরা হাজির করা ত্বকের যত্নের টিপসগুলি গ্রহণ করলে, আপনি মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে আরও ভাল ফলাফল পাবেন। কারণ, ত্বকের যত্নের এই টিপসগুলো আপনার ত্বককে মেরামত করে সুস্থ করে তোলে। যেমন-
১) বেসন এবং দই ফেস প্যাক
বেসন এবং দই উভয়ই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং ত্বকের উন্নতিতে সাহায্য করে। মুখের পাশাপাশি আপনি এই ফেসপ্যাকটি আপনার হাতেও লাগাতে পারেন।
প্যাকটি তৈরি করার সামগ্রী:- ৫ চামচ বেসন, ৩ চামচ দই এবং ১ চামচ মধু
পদ্ধতি:- এই সকল জিনিস একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগান। শুকানোর ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই উজ্জ্বল ত্বকের ফেসপ্যাকটি ১৫ দিনের মধ্যে 3 বার ব্যবহার করুন।
২) উজ্জ্বল ত্বকের জন্য মসুর ডালের ব্যাবহার:-
মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মসুর ডাল ব্যবহার করা যেতে পারে। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য এই প্রতিকার নিতে পারেন।
তৈরির সামগ্রী:- ২ চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে মসুর ডালের সঙ্গে ১ চা চামচ বাদাম তেল এবং ১ চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
পদ্ধতি:- মসুর ডালের ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট শুকাতে দিন এবং তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মসুর ডালের ফেসপ্যাক ২-৩ বার লাগাতে পারেন ১৫ দিনের মধ্যে উজ্জ্বল ত্বক পেতে।
৩) ঘুমানোর আগে ফেসিয়াল ম্যাসাজ করুন:
ম্যাসাজ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বকে নিয়ে আসে প্রাকৃতিক আভা। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ১৫ দিন মুখে তেল মালিশ করতে হবে। ফেস ম্যাসাজের জন্য খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল আপনার ত্বকের কোষগুলিকে মেরামত করতে এবং ত্বককে নরম এবং ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
৪) জল পান করুন প্রচুর:-
গরমে ত্বক উজ্জ্বল রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো জল পান। আপনি ১৫ দিন ধরে প্রতিদিন ২-৩ লিটার জল পান করুন এবং আপনি দেখতে পাবেন যে ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। আসলে পর্যাপ্ত জল পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় এবং পুরো শরীর ভিতর ও বাইরে থেকে পরিষ্কার থাকে। সাধারণ জল ছাড়াও গ্রীষ্মে নারকেলের জল পান করতে পারেন আপনি।