২৪’শে মার্চ না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী। শুটিং সেটেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর বাড়িতেই চিকিৎসা শুরু হয় তার। চিকিৎসা চলাকালীন বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। বর্তমানে তিনি টেলিভিশন জগতে চুটিয়ে কাজ করছিলেন। তবে সেই কাজ শেষ করা হলো না তার। কিন্তু সম্প্রতি অভিনেতার প্রয়াণের পর এবার মুখ খুললেন তার স্ত্রী সংযুক্তা। নাম না করেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
আগে বহুবার একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি যখন তার কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন তখনই তার হাত থেকে পরপর চলে যেতে থাকে ২২’টা ছবির কাজ। সেই সময়ের পর থেকেই অভিনেতা বহুবার নাম না করেই এর জন্য ইঙ্গিত করেছিলেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার দিকে। তবে কখনই স্পষ্টা স্পষ্টি কোন কথা মিডিয়ার সামনে বলতে রাজি হননি তিনি। তবে বড়পর্দা থেকে সরে যাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই ছোটপর্দার হাত ধরে ফিরে এসেছিলেন অভিনেতা। ছোটপর্দাতেই বিস্তার করেছিলেন নিজের প্রভাব, যা ছিল শেষদিন পর্যন্ত।
তবে সম্প্রতি এবার প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জীর স্ত্রী সংযুক্তা মুখ খুলেছেন। থেকে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, টলিউডের কোন অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী স্ত্রী অর্থাৎ সংযুক্তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এছাড়াও এক অভিনেত্রী তাকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে অভিনেতার স্ত্রী জানিয়েছেন, কেউই তাকে কোন অর্থ সাহায্য করেননি। এমনকি তিনি আরও জানান, যাদের নাম উঠে এসেছে তারা ফোন করে অভিনেতা মারা যাওয়ার পর কোন শোকবার্তা পর্যন্ত জানান নি।
এরপর তিনি আরও জানান, তিনি মাসিক যা বেতন পান তাতে তিনি তিন জনের সংসার নির্দ্বিধায় চালিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু অভিনেতা কখনোই কারোর কাছে হাত পাতেননি। তিনিই সংসারের মাথা হিসেবে সমস্ত খরচা চালাতেন। এরপর সংযুক্তা জানান, অভিনেতা কখনোই কারোর কাছে হাত পাততে রাজি ছিলেন না। তিনি তার স্ত্রী হয়ে কেন কারোর কাছে হাত পাতবেন! শেষে তিনি এও জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও তার কোন অর্থ কষ্ট নেই। তার প্রাপ্ত বেতনে মেয়ে ও তার সংসার ভালোভাবেই চলে যাবে।