হিন্দু শাস্ত্র অনেক বৃহৎ ও অনেক কিছুর বর্ণনা করেছেন। এই শাস্ত্র মতেই তুলসী আমাদের পূজ্য একটি গাছ, আর এখন বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে তুলসী পাতার উপকারিতা। তুলসী গাছকে হিন্দু ধর্মে পূজনীয় বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী গাছে দেবী দেবী তুলসী বাস করেন। একইসঙ্গে এটাও বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী পাতা ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়। তাই বিষ্ণুর পায়ে তুলসী দেওয়া হয় এবং ভোগ পরিবেশনেও তুলসী দরকার পড়ে।
দ্বাপর যুগে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একটি তুলসী গাছকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাকে তার রাণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। বাস্তুশাস্ত্রে বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর জন্য অনেক নিয়ম-কানুন দেওয়া হয়েছে।
অনেক সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে তুলসী পাতা শুকিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শুকনো তুলসী পাতা দিয়ে কী করবেন, আজ আমরা আপনাদের জানাতে যাচ্ছি। এটা বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী পাতা ১১ দিন বাসি হয় না। অতএব, সেগুলি নীচে উল্লিখিত নিয়মে ব্যবহার করা যেতে পারে।
শ্রীকৃষ্ণকে ভোগ নিবেদনের সময় শুকনো তুলসী পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে একটি তুলসী পাতা ১১ দিন ধরে খাওয়া যেতে পারে এবং যখন এটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়, তখন এটি আপনার খেয়ে নিতে পারেন। এটা সকলেরই জানা যে তুলসী শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়, তা শুকনো হোক বা তাজা।
ভোগের জলেও তুলসী পাতা দিন। শ্রী কৃষ্ণের শিশুরূপ স্নান করার সময় তুলসীর শুকনো পাতা জলে রেখে তারপর নিজেই এই জলটি গ্রহণ করুন। আপনি আপনার স্নানের জলে শুকনো তুলসী পাতাও দিতে পারেন। এটি ইতিবাচক শক্তি শরীরে প্রবেশ করতে দেয়। শুধু একটা কথা মনে রাখবেন স্নান করার আগে এই পাতাগুলো জল থেকে তুলে ফেলুন।
শুকনো পাতা তুলসীর পাত্রে পুঁতে দিতে পারেন। এটি সারে পরিণত হয়ে যাবে। শুকনো তুলসী পাতা খাতার মাঝখানে রাখতে পারেন। এতে আপনার পড়াশোনার সমস্ত কাজ ইতিবাচক উপায়ে সম্পন্ন হয়।
শুকনো তুলসী পাতা লাল কাপড়ে বেঁধে ভল্টে বা পার্সে রাখলে আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। গঙ্গাজলে তুলসী পাতা রেখে সারা ঘরে এই জল ছিটিয়ে দিলে ঘরের নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
নিয়মিত জলের সাথে তুলসীর ৭টি শুকনো পাতা গিলে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে মনে রাখবেন তুলসী পাতা চিবানো উচিত নয়।