ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : ওজনাধিক্যের কারণে অনেকেরই রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কারো কারো আবার রাতে রুটি খাওয়ায পছন্দ করেন। কিন্তু এটি কতটা স্বাস্থ্যকর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কারো কারো মতে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর। আবার কেউ কেউ ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞানের মতামত জানাটা বেশি জরুরি। তাহলে আসুন জেনে নিই বিজ্ঞান কি বলছে।
বিজ্ঞান বলছে রুটি আমাদের শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখে। গমের পুষ্টিকর উপাদান আমাদের হার্টকে ভালো রাখে।
গমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যেমন ভিটামিন-বি, ভিটামিন-এ, সিলিকন, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ইত্যাদি। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক লবণ আমাদের শরীরকে এনার্জেটিক করে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে সেইসব রোগীদের রুটি খাওয়া উপকারী। রুটিতে থাকা ভিটামিন বি ১, বি২, বি৩, বি৯ ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। এ নিয়ে আর কোন প্রশ্নই থাকে না যে রুটি খাওয়ার অভ্যাস ভালো না খারাপ। কিন্তু প্রশ্ন একটাই রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস কতটা উপকারী।
১) এনার্জীর মাত্রা বৃদ্ধি করে:
অনেক গবেষণার পর দেখা গেছে রাতে রুটি খেলে শরীরে এনার্জি বাড়ে। ফলে শরীর চাঙ্গা থাকে।
২) ওজন কমাতে সাহায্য করে:
রাত যত বাড়ে তত আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট কমতে থাকে। তাই রাতে যদি আমরা বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই তাহলে ওজন বাড়তে পারে। আর রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই রাতে রুটি খেলে ওজন কমে।
৩) শরীরে জমে থাকা ফ্যাট ঝরায়:
গবেষণা করে দেখা গেছে রুটি শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরাতে সক্ষম। ফলে ওজন কমে।
৪) হজম ক্ষমতা বাড়ায়:
রুটিতে থাকা ফাইবার শরীরে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতে রুটি খেলে রুটি তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৫) রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে রুটি খেতে পারেন। কারণ রুটি রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬) মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমায়:
রুটি শরীরের রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে। রুটিতে থাকা একাধিক উপকারী উপাদান ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৭) ত্বকের জন্য উপকারী:
রুটিতে থাকা জিঙ্ক ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৮) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
রুটিতে প্রচুর সেলেনিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে। যা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে। তাই রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।