গ্রীষ্মকালে অফিস, স্কুল সবাই গরমের বন্দের ছুটি পায়।তাই থাকে মানুষই কোথাও না কোথাও বেড়াতে যান। এমন অবস্থায় প্রচণ্ড রোদ ও গরমের কারণে ট্যানিংয়ের সমস্যা শুরু হয়। সমুদ্র সৈকতে এবং পাহাড়ে তীব্র সূর্যালোক রয়েছে, যা ত্বককে ঝলসে দেয়। আপনি যদি ছুটির পরে এসে থাকেন এবং ত্বক খারাপভাবে ট্যানড হয়ে যায়, তবে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে এই সমস্যাটি দূর করা যেতে পারে। সানবার্ন এবং ট্যানিং থেকে মুক্তি পেতে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। এতে আপনার গায়ের রং ফর্সা হবে এবং ট্যানিং সম্পূর্ণভাবে দূর হবে।
১) বেসন, হলুদ এবং লেবু – ট্যানিং দূর করতে বেসন, হলুদ এবং লেবুর রস ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি মুখে লাগালে গায়ের রং ভালো হবে এবং ট্যানিং চলে যাবে। এর জন্য 2 চা চামচ বেসন 1 চা চামচ হলুদ, অর্ধেক লেবুর রস এবং সামান্য জল মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি মুখে লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পর পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে প্যাকটি তুলে ফেলুন এবং ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২) অ্যালোভেরা- ট্যানিং দূর করতে অ্যালোভেরা খুবই ভালো। অ্যালোভেরাতে এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যা মুখকে উজ্জ্বল করে। এর জন্য আপনার মুখ, পায়ে এবং ঘাড়ে অ্যালোভেরা জেল লাগান। প্রায় 20-25 মিনিট পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) দই- রোদে পোড়া হলে দই ব্যবহার করুন। মুখে দই লাগালে মুখ পরিষ্কার হয়। ট্যানিং এর সমস্যা দূর হয়। এজন্য ঠাণ্ডা দই নিন এবং যেসব জায়গায় রোদে পোড়া বা ট্যানিং হয়েছে সেখানে লাগান। এটি 20-25 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপরে সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪) দুধ, মধু ও লেবু- ট্যানিং দূর করতে দুধ, মধু ও লেবুর রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন। এতে রোদে পোড়ার সমস্যা দূর হবে। আপনি একটি পাত্রে 2 চামচ দুধ নিন এবং এতে 1 চামচ মধু যোগ করুন, অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন এবং সমস্ত কিছু মিশিয়ে মুখে লাগান, শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) দই ও হলুদ- দই ও হলুদও মুখের জন্য খুবই উপকারী। এই দুটি জিনিসই ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে রোদে পোড়া ও ট্যানিংয়ের সমস্যা দূর হবে। এর জন্য ৩ চামচ দই নিয়ে তাতে ১ চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন। এটি সারা মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।