পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি কমানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে পেট্রোলে ৮ টাকা এবং ডিজেলের লিটার পিছু ৬ টাকা এক্সাইজ ডিউটি কম করছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে সাধারণ মানুষের কাধ থেকে দৈনন্দিন খরচের বোঝা কম করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে এর আগেও শুল্কের হার কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে সামান্য দাম কমলেও, এইবারে এক ধাক্কায় অনেকটা দাম কমছে চলেছে পেট্রোল এবং ডিজেলের।
শনিবার নিজের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জ্বালানির উপর থেকে শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেছে নির্মলা সীতারামন। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকার দরিদ্র এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই সাধারণের সুরাহার জন্য আমরা আরো কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করতে চলেছি। ‘ এক্সাইজ ডিউটি কমানোর ফলে এবারে এক ধাক্কায় সাড়ে ৯ টাকা দাম কমবে প্রতি লিটার পেট্রোলের। অন্যদিকে লিটার পিছু ৭ টাকা দাম কমবে ডিজেলের।
তার পাশাপাশি উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে যারা প্রত্যেক বছরে ১২টি করে সিলিন্ডার গ্রহণ করেন তারা এই ভর্তুকি পেতে চলেছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি, রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে এতদিন পর্যন্ত জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায় তেলের দাম যে হারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, সেরকম কিন্তু এর আগে কখনো দেখেনি ভারত।
এর কারণে রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এর ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সকলের নাভিশ্বাস করতে শুরু করে। যদিও অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার একটা সময় এই শুল্কের হার বাড়িয়ে ছিল। তাই খানিকটা কমানো কেন্দ্রের দায়ের মধ্যে পড়ে। নির্মলা বলছেন, রাজ্যগুলির শুল্ক কমানো উচিত। কিন্তু কেন্দ্র যখন পেট্রোলে ৮ টাকা করে দাম কমাচ্ছে, তার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ২ টাকা আপনা-আপনি কমে যাচ্ছে রাজ্যগুলির। তাই এর থেকে বেশি করা সম্ভব কিনা, তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ যদিও এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যেন কেন্দ্রীয় সরকারের পথ অবলম্বন করে প্রত্যেকটি রাজ্য সরকার তাদের শুল্ক আরো কমায়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।