মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১২ রান, আইপিএলে ইতিহাস লিখলেন আনক্যাপড ক্রিকেটার রজত পাতিদার
দুটি জীবন দান পেয়েছিলেন রজত পতিদার। প্রথম বার তাঁর ক্যাচ পড়ে ১৫.৩ ওভারে। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে রজতের ক্যাচ ছাড়েন দীপক হুডা। একেবারে সহজ ক্যাচ ছিল। এর পর ফের ১৭.৩ ওভারে মহসিন খানের বলে পতিদারের ক্যাচ ধরতে পারেননি ভোরা।
পরিবর্তক ক্রিকেটার হিসেবে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার রজত পাতিদার। আর সেই তরুণ ক্রিকেটারের কাঁধে ভর দিয়ে লখনউ সুপার জায়েন্টসের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে জয়লাভ করলো ব্যাঙ্গালোর শিবির। কাহিনীর সূত্রপাত ঘটে গ্রুপ পর্যায়ের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে। কারণ চোটের জন্য গোটা আইপিএল মরশুম থেকে ছিটকে যান লুবনিথ সিসোদিয়া। মূলত তাঁর পরির্তক হিসেবে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর তাদের দলে যুক্ত করেন আনক্যাপড ক্রিকেটার রজত পাতিদারকে।
তবে তরুণ সেই ক্রিকেটারের জন্য লখনউ সুপার জায়েন্টসের মতো শক্তিশালী দল প্লে-অফের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পরাজিত হবে এমনটা হয়তো ভাবেনি কে এল রাহুলের দল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে যেখানে বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিস এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মত বিধ্বংসী ক্রিকেটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দেন সেখানে তরুণ ক্রিকেটারের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছেন খোদ বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।
ব্যাঙ্গালোরের দুঃসময়ে মাত্র ৫৪ বল মোকাবেলা করে ১১২ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। আর এর সাথে সাথে আইপিএলের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ইতিহাস লিখেছেন রজত পাতিদার। আইপিএলের ইতিহাসে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শতরানের ইনিংস খেলার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইতিপূর্বে আইপিএলের ১৪ আসরে প্লে অফের ম্যাচগুলোতে শতরানের ইনিংস আসেনি কারো ব্যাট থেকে।
যদিও গতকাল দুটি জীবন দান পেয়েছিলেন রজত পতিদার। প্রথম বার তাঁর ক্যাচ পড়ে ১৫.৩ ওভারে। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে রজতের ক্যাচ ছাড়েন দীপক হুডা। একেবারে সহজ ক্যাচ ছিল। এর পর ফের ১৭.৩ ওভারে মহসিন খানের বলে পতিদারের ক্যাচ ধরতে পারেননি ভোরা। ঠিক তার পরের বলে ছক্কার সাহায্যে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি পার করেন রজত পাতিদার। মূলত দীনেশ কার্তিক এবং রজতের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর ভর করে ইনিংস শেষে ২০৭ রানের বিশাল স্কোর অর্জন করতে সক্ষম হয় ব্যাঙ্গালোর।