বাংলা বিদ্বেষী কলকাতা নাইট রাইডার্স অবশেষে কি বাঙালি ক্রিকেটারদের সুযোগ দেবে আইপিএলে? আইপিএলের মেগা আসরে কলকাতার লজ্জাজনক বিদায়ের পর অবশেষে এমন প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটমহলে। গতবারের ফাইনালিস্ট ২০২২ আইপিএলে পয়েন্ট টেবিলের নিচের সারির বাসিন্দা! বিষয়টি যেমনি হতাশাজনক তেমনি হাস্যকর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে বাঙালি ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে।
আইপিএল শুরুর কয়েকটি আসরে সৌরভ গাঙ্গুলী, লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং মনোজ তিওয়ারির মতো ক্রিকেটারদের কেকেআর-এর জার্সি গায়ে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ইদানিং কলকাতা দলে বাংলার ক্রিকেটারদের দেখাই যাচ্ছে না। ক্রিকেটার তো দূরে থাক স্টাফ কর্মীদের মধ্যেও নেই বাঙালিয়ানা। এমন পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার মুখে।
বাংলার নামে দলটি পরিচালিত হলেও আদতে বাংলার কোন ক্রিকেটার সুযোগ পায় না নাইট শিবিরে। এক-দুই বছর নয়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির বাঙালি শূন্য। বাঙালি ক্রিকেটারদের প্রতি অসম্মান আইপিএলের মেগা নিলামে প্রত্যক্ষ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। যখনই মেগা নিলামে একজন বাঙালি ক্রিকেটারের নাম উঠেছে তখনই নিলামের বেঞ্চে বসে থাকা শাহরুখ খানের পুত্রকে অন্যমনস্ক হতে দেখা গেছে। তবে সেই বাঙালি ক্রিকেটারদের হাত ধরে আইপিএল শিরোপা জিতল গুজরাট টাইটান্স। এরপর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, কবে শিক্ষা পাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এবার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক ডালমিয়া। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,”বর্তমানে কলকাতা নাইট রাইডার্স বাঙালি শূন্য দল। তবে আইপিএলের মেগা আসরে ঋদ্ধিমান সাহা, মোহাম্মদ সামি কিংবা শাহবাজ আহমেদের মত ক্রিকেটাররা বিশ্বমানের ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন। মনে রাখতে হবে তারা সবাই বাঙ্গালী। অর্থাৎ বাঙালিরাও ক্রিকেট খেলতে জানে।”
তিনি আরও বলেন,বিষয়টি নিয়ে এবার কলকাতার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার সময় এসেছে। তারা যেন বেশি বাঙালি ক্রিকেটারকে খেলার সুযোগ করে দেন সে বিষয়ে খুব শীঘ্রই তাদের সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বাঙালি শূন্য কলকাতা নাইট রাইডার্স রীতিমতো বাঙালি ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে শ্রদ্ধা হারাচ্ছে সে কথা স্পষ্ট।