মে মাসের শেষটা একেবারেই ভালো হল না। গত দু’দিন ধরে অনুষ্ঠানের খাতিরে কলকাতাতে ছিলেন বলিউড খ্যাত গায়ক কে কে ( কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ )। ৩১’শে মে গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের সোশ্যালে পারফর্ম করতে নজরুল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিএমআরআইতে প্রখ্যাত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশে। আবারো সঙ্গীত জগতের এক বড় নক্ষত্র পতন।
তার মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় তার শেষ পারফর্ম্যান্সের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে গায়ককে বারবার স্পট লাইট বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি নিজের গরম লাগার কথাও জানাতে দেখা গিয়েছিল তাকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তোয়ালে দিয়ে বারবার ঘাম মুছতেও দেখা গিয়েছে তাকে। সেইসময় থেকেই শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল কে কের, তা বোঝা যাচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এবং ব্যবস্থাপনায় গলতি থাকার জন্যই আজ কে কে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
তার প্রয়াণের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে অনেক। কেন সময় মতো তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলো না? কেনই বা তার শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ সেটা কারোর চোখে পড়ল না? এমন নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। তবে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে সম্প্রতি অটোপসি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে তার মৃত্যুর আসল কারণ। ইতিমধ্যেই তার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক ধরেই এফআইআয দায়ের করা হয়েছিল। তার তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আপাতত, অটোপসি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকায় তা ইন্ট্রামাসকুলার ধমনীকে সংকুচিত করে দিয়েছিল এবং যার জন্যই চাপ পরেছিল হৃদয়ের উপর। আর সেই কারণেই শেষ রক্ষা হলো না।
শেষপর্যন্ত’আলবিদা’ বলেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, চূড়ান্ত অটোপসি রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন গায়কের এরপর অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকছে না, তবে তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে, কে কের মৃত্যু গোটা ভারতবর্ষের শ্রোতামহলকে কাঁদিয়ে দিয়েছে।