জাতীয় রাজনীতিতে এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে একনাথ শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা। আসলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে একনাথ শিন্ডেকে। এবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কার্যক্রমে ভুল ছিল বলে দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে শিবির। এছাড়া মহারাষ্ট্রের সরকার গড়ার সময় রাজ্যপাল ভরত সিং কোশিয়ারেকে আহবান জানানোও বেআইনি বলে অভিযোগ তুলেছে ঠাকরে শিবির। জানা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি আগামী সোমবার হবে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ঠাকরে শিবিরের সুভাষ দেশাই নামক এক বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বহিষ্কার করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল। সেই সময় তাঁরা আস্থা ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা করছে ঠাকরে শিবির।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপনাদের জানিয়ে রাখি যে একনাথ শিন্ডে ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ করেছিলেন। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ ছাড়াও মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নতুন স্পিকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল শিবসেনার ওই ১৬ বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। সেই কথা উল্লেখ করে তাদের বহিষ্কারের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন দেশাই। আর শিব সেনার ৪০ জন বিধায়ক মহা বিকাশ আগারি ছেড়ে একনাথ শিন্ডের সঙ্গে যোগ দেন। এরপরই মহারাষ্ট্র সরকারের পতন হয়েছিল।
অন্যদিকে শিবসেনার মূল প্রাণ কেন্দ্র বৃহন্মুম্বাই কর্পোরেশন। সেখানে বৃহস্পতিবার থানে পুরসভার ৬৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬৬ জন যোগদান করেছেন একনাথ শিন্ডে শিবিরে। আর এখান থেকেই যে তার উত্থান হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথমবার ভোটে জিতে তিনি এই এলাকা থেকেই কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তারপর ওই এলাকার চারবারের বিধায়ক তিনি। বরাবর শিন্ডে দাবি করেছেন যে তিনি ও তাঁর অনুগামীরা প্রকৃত শিবসেনা। আসতে আসতে সেই কথাটাই যেন চরম সত্য হয়ে উঠছে।