নিউজরাজ্য

বাংলায় কি স্কুল কলেজ বন্ধ হবে আবার? সাফ জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু

একটা সিংহভাগ মানুষ চাইছেন যেনো স্কুল ও কলেজ বন্ধ না করা হয়

Advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই করোনা ভাইরাস আমাদের ভারত ও বাংলার জন্য সমস্যার হয়ে দাড়িয়েছে। এই অবস্থায় নানা জায়গায় শোনা যাচ্ছে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একইভাবে করোনা ভাইরাসের বাড় বাড়ন্ত বেড়েছে কলকাতাতেও। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০ জনের মতো মানুষ। আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করে। তাই এই বিরূপ পরিস্থিতিতে অনেকের মনে শুরু হয়েছে স্কুল বন্ধের ভ্রুকুটি। বাংলার সাধারণ মানুষ মনে করছেন আবারো বন্ধ হতে পারে বাংলার সব স্কুল ও কলেজ।

কিন্তু এই অবস্থায় করোনা ভাইরাসের বাড় বাড়ন্তকালে কি ভাবছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আবারো কি বন্ধ হতে চলেছে বাংলার স্কুল ও কলেজ? এবারে সেই নিয়ে নিজেদের মত জানিয়ে দিলেন খোদ শিক্ষা মন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলছেন, “স্কুলে আলাদা ভাবে কোনও বিধিনিষেধ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা পাইনি আমরা। স্কুলশিক্ষা দফতর নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। স্বাস্থ্য দফতর যদি কোনও নির্দেশিকা দেয়, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে, শিক্ষকের পাশাপাশি একটা বড় অংশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চাইছেন এই অবস্থায় স্কুল ও কলেজ খোলাই থাকুক। একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সারা বাংলায় স্কুল ও কলেজ বন্ধ ছিল। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা। প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতি হয়েছে পড়ুয়াদের। এই ক্ষতি রীতিমতো অপূরণীয়। তাই এখন প্রয়োজনে পড়াশোনা চালু রাখতেই চাইছেন সকলে।

তবে আরেক দিক থেকে সমস্যার হয়ে দাড়িয়েছে স্কুল ও কলেজের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা বিধি পালনের ব্যাপারটা। অনেকেই এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা বিধি পালন করেন না। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে অনেকেই অনীহা প্রসদর্শিন করে থাকেন। যারা স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া আছেন তাদের মধ্যেও এই ধরনের বিধি নিয়ে অসচেতনতা আছে। আর বড়দের আচরণ এতটাই খারাপ যে তাদের আচরণের জন্যই আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্র সমাজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্কুল পড়ুয়ার প্রশ্ন, “রাস্তাঘাটে, বাসে-ট্রেনে কোথাও তো কেউ মাস্ক পরছে না। তা হলে স্কুলে এসে আমরা মাস্ক পরব কেন?” তাই এই ধরনের প্রশ্ন যদি আরো পড়ুয়ার মধ্যে থাকে তাহলে তাদের মধ্যে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি একেবারেই মুখের কথা না।

Related Articles

Back to top button