ভারতের বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র শেওয়াগ বর্তমানে সংবাদ শিরোনামের শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছেন। এর কারণ অবশ্য তার ব্যক্তিগত জীবন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ভারতীয় এই ক্রিকেটারের রয়েছে প্রচুর ফ্যান-ফলোয়িং। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, ভক্তদের জন্য তাদের সুপারস্টারদের ক্রমাগত সংযোগ রক্ষা করা বেশ সহজ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দর্শকরা সবসময় আগ্রহী। তারা তাদের প্রেমের সম্পর্ক এবং বিবাহ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে বীরেন্দ্র শেওয়াগের প্রেম এবং বিয়ের ঘটনা সামনে আসতেই তুমুল হৈচৈ পড়েছে নেট পাড়ায়।
জানলে অবাক হবেন, মাত্র ৭ বছর বয়সে বীরেন্দ্র শেওয়াগ প্রথমবার তার স্ত্রী আরতি আহলাওয়াতের সাথে দেখা করেছিলেন। আরতির মাসির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শেওয়াগের কাকার ছেলের সঙ্গে। এই সূত্রে উভয় পরিবারই সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বীরেন্দ্র শেওয়াগ এবং আরতি ছোটবেলা থেকে একে অপরের পরিচিত ছিলেন। পরে সেই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক এবং সর্বশেষ পারিবারিকভাবে দুজন সাতপাকে বাঁধা পড়েন।
পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজ শেষ করে ২০০৪ সালে শেওয়াগ আরতির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়ে। ১৮ বছরের বিবাহিত জীবনে আরতি এবং বীরেন্দ্র শেবাগ দুই সন্তানের (আর্যবীর এবং বেদান্ত) বাবা-মা। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, শেওয়াগ এবং আরতির বিয়ে হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন নেতা অরুণ জেটলির বাংলোতে।এক সাক্ষাৎকারে বীরেন্দ্র শেওয়াগ নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন।
একটি অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্র শেওয়াগ বলেন, ‘বিয়ের জন্য আমি এবং আরতি প্রস্তুত থাকলেও বাড়ির লোকের মত ছিল না। কারণ আমাদের পরিবারে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ হয় না। বিষয়টি পরিবারকে বোঝাতে অনেক সময় লেগেছিল আমার। তবে অবশেষে আমার পরিবার থেকে রাজি হলেও আরতির পরিবার থেকে ঘোর অমত জানানো হয়।’ এদিকে আরতি বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে এমন অনেক লোক ছিল যারা এই বিয়েতে খুশি ছিলেন না। তবে আমাদের দুজনের প্রচেষ্টার সামনে শেষ পর্যন্ত পরিবার হাল ছেড়ে দেয়।’