ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার কাছে কি এই বিশেষ এক টাকার কয়েন আছে? তাহলে বাড়ি বসেই হয়ে যেতে পারবেন লাখপতি

বাড়িতে বসেই পাল্টে যেতে পারে আপনার ভাগ্য

Advertisement

এই মুহূর্তে সবাই নিজের জীবনে প্রচুর পয়সা রোজগার করতে চান। এই দৌড়ে অনেকেই স্বপ্ন দেখেন যেন তার কাছে প্রচুর পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকে এবং তার জীবন সঠিকভাবে চলে। কিন্তু, অধিকাংশ চাকুরীজীবী মানুষদের পক্ষে এত পরিমান টাকা নিজের জীবনে রোজগার করার সহজ কাজ হয়ে ওঠেনা। এরকম সময় যদি আপনি কয়েক বছরের মধ্যে লাখোপতি কিংবা কোটিপতি হয়ে ওঠার মতো সুযোগ পেয়ে যান তাহলে আপনি নিজেকে অবশ্যই সৌভাগ্যবান মনে করবেন।

তবে হ্যাঁ, টাকা যদি আপনি রোজগার করার ক্ষমতা রাখেন তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই ধনসম্পত্তি লাভ করতে পারবেন না নিজের জীবনে। অধিকাংশ সময় এরকম হয়ে থাকে, এরকম সুযোগ হয় তো আপনি কোনদিন পেলেন না। কিন্তু, আজকের যুগে একটি কথা বেশ প্রচলিত, টাকা অনেক সময় টাকা রোজগারের সুযোগ করে দেয়। এর জন্য আপনাকে ঘরের থেকে বাইরে বেরোতে হয়না, আপনি বাড়িতে বসে বসেই লাখ লাখ টাকা রোজগার করে নিতে পারেন। আজ এরকম একটি পদ্ধতির ব্যাপারে আপনাকে জানাবো।

আন্তরাষ্ট্রীয় বাজারে পুরনো এবং স্পেশাল নম্বরের নোট এবং কয়েন বেশ ভালো দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এরকম সময় যদি আপনার কাছে একটি ১৯৮৫ সালের ১ টাকার কয়েন থাকে এবং যেখানে H এর চিহ্ন লেখা থাকে তাহলে আপনি কিন্তু এই কয়েন বিক্রি করে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারবেন। এই ধরনের কয়েন ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ভারতে চালু ছিল। যদি আপনার কাছে ১৯৮৫ সালের কয়েন থাকে তাহলে সেটার বিক্রয়মূল্যের পরিমাণ একটু বেশি হবে। আর যদি একটু নতুন H লেখা এক টাকার কয়েন আপনার কাছে থাকে তাহলে আয় একটু কম হবে। মনে রাখবেন এই কয়েনের ওজন হতে হবে ৪.৮৫ গ্রাম তবে হ্যাঁ, যদি আপনার কাছে এরকম দুটি কয়েন থাকে তাহলে এই রোজগার প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে যাবে।

ইবে ওয়েবসাইটে কিরকম ভাবে বিক্রি করবেন পুরনো নোট এবং কয়েন?

এই ওয়েবসাইটে প্রথমে আপনি লগইন করে নিন এবং তারপর হোমপেজে আপনি রেজিস্টার করুন বিক্রেতা হিসেবে।

তারপরে আপনি নিজের কয়েন অথবা সেই পুরনো নোটের একটি স্পষ্ট ছবি তুলুন এবং সেই ওয়েবসাইটে নিজের একটি বিজ্ঞাপন আপলোড করুন।

এই ওয়েবসাইটের তরফ থেকেই আপনার বিজ্ঞাপন এমন কিছু লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে যারা এই ধরনের পুরনো নোট এবং কয়েন কিনতে পছন্দ করে থাকেন।

তারপর আপনাকে তারা সরাসরি কন্টাক্ট করে আপনার কাছ থেকে নোট এবং কয়েন ঠিকঠাক দামে কিনে নিতে পারবেন।

কিভাবে কুইকার ওয়েবসাইটে বেচবেন পুরনো নোট এবং কয়েন?

এর জন্য প্রথমে আপনাকে কুইকার ওয়েবসাইটে গিয়ে বিক্রেতা হিসেবে রেজিস্টার করতে হবে এবং লগইন করতে হবে।

তারপর আপনাকে সেই পুরনো নোট অথবা কয়েনের একটি স্পষ্ট ছবি তুলে সেই ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে এবং সেখানে নিজের সম্পূর্ণ ডিটেইলস, ফোন নাম্বার এবং ইমেইল আইডি দিতে হবে।

তারপর ওয়েবসাইট এর তরফ থেকে আপনার সমস্ত ডিটেইলস ভেরিফাই করা হবে এবং তারপর ডিটেইল সম্পূর্ণ ঠিকঠাক থাকলে ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে আপনার পুরনো নোট এবং কয়েনের ছবি বিজ্ঞাপনের আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ইচ্ছুক ক্রেতাদের কাছে। সেখান থেকে তারা আপনার সাথে সরাসরি কন্টাক্ট করতে পারবেন।

কয়েন বাজার ওয়েবসাইটে কিরকম ভাবে বিক্রি করবেন পুরনো নোট এবং কয়েন?

এই ওয়েবসাইটে যদি আপনি বিক্রি করতে চান তাহলে প্রত্যেক দিনের আলাদা আলাদা সেলিং প্রাইস আপনি সেট করতে পারেন।

এখানেও আপনাকে কিভাবে লগইন করতে হবে, তারপর নিজেকে বিক্রেতা বলে রেজিস্টার করতে হবে এবং তারপর নিজের পুরনো নোট এবং কয়েনের ছবি তুলে সেটাকে বিজ্ঞাপনের আকারে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।

কয়েন বাজার ওয়েবসাইটে যদি আপনার সাথে কেউ সরাসরি কন্টাক্ট করে আপনার জিনিস ক্রয় করতে চায় তাহলেও করতে পারে। তবে কয়েন বাজার ওয়েবসাইটের সবথেকে বড় বিষয়টা হলো, এই ওয়েবসাইটে একটা ডেলিভারি সার্ভিস রয়েছে। অর্থাৎ বিক্রেতা যদি আপনার কাছে সরাসরি পেমেন্ট করে দেয় তাহলে আপনি নিজের বাড়ি থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডেলিভারি করতে পারে নিজের পুরনো নোট এবং কয়েন। তবে হ্যাঁ যে সমস্ত প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করতে চাইছেন সে সমস্ত প্রোডাক্ট এর সার্টিফাইড প্যাকেজিং করাবেন।

Related Articles

Back to top button