আষাঢ় মাস চলে এলেও তেমন একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা হলেও এখনো দক্ষিণবঙ্গের মানুষ তেমনটা বৃষ্টি দেখতে পাননি এ বছরের বর্ষায়। বিক্ষিপ্ত বর্ষণের মধ্যেই এবারে কাটতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের আষাঢ় মাস। তবে আষাঢ় মাসের শেষে এবারে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি আসছে দক্ষিণ বঙ্গের জন্য।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে এখনো পর্যন্ত মৌসুমী বায়ু দুর্বল থাকার কারণে তেমনভাবে বৃষ্টি হয়নি।কিন্তু এবারে জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলেও জুলাই মাসের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় কয়েক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের সতর্কবার্তায় বারবার বলা হচ্ছে নামখানা এবং মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দারা যেন নিরাপদে থাকেন। পাশাপাশি কাকদ্বীপ নামখানা ফ্রেজারগঞ্জ পাথরপ্রতিমা থেকে যে সমস্ত ট্রলার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে গিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ এবং ১৪ তারিখ সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও বর্ষা শুরুতে এবার দক্ষিণবঙ্গে তেমন একটা বৃষ্টি হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বর্ষার প্রথম মাসে উত্তরবঙ্গের স্বাভাবিকের তুলনায় ৫৯% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। উল্টোদিকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪৮ শতাংশ। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলের কাছে সৃষ্টি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী কয়েক ঘন্টায় এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। বেশি বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়।এই পরিস্থিতি ওড়িশার নিম্নচাপের কারণে বঙ্গের বর্ষা হিসেবে প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস।