করোনা আতঙ্কের মাঝে বিশ্বের কাছে নতুন ত্রাসের নাম মাঙ্কি পক্স। ইউরোপ, আফ্রিকাসহ বিশ্বের একাধিক দেশে এই সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি গতকাল ভারতের কেরলে বিদেশ ফেরত এক ব্যক্তির রিপোর্ট মাঙ্কি পক্স পজিটিভ এসেছে। এরপর থেকেই সংক্রমণ যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়তে পারে তার জন্য তড়িঘড়ি উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্র রাজ্যের এক বৈঠকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে এবার সমস্ত রাজ্যের প্রবেশদ্বারে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের স্ক্রিনিং টেস্ট করা হবে। এছাড়া রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিভিন্ন হাসপাতালগুলিকে চিহ্নিত করে কোন সন্দেহভাজন বা মাঙ্কি পক্স কেস থাকলে তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, “এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুন পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি দেশ এবং দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে মোট ৩৪১৩ টি পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আফ্রিকা থেকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।”
কি এই মাঙ্কি পক্স? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO কিছুদিন আগেই জানিয়েছে যে এই মাঙ্কি পক্স একটি সংক্রামক রোগ। এটি মূলত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। এই রোগের লক্ষণগুলি অনেকটা গুটিবসন্ত রোগের মত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দেশ এবং আমেরিকার কয়েকটি দেশে এই সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনই সংক্রমণ রোধ না করা হলে করোনার মতো এটিও বিশ্বব্যাপী ত্রাস হয়ে যেতে পারে।
এই সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে আগে থাকতেই সাবধান হতে চায় ভারত। তাই ইতিমধ্যেই জনস্বাস্থমূলক সচেতনাবৃদ্ধির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার থেকে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একাধিক গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। প্রত্যেকটি রাজ্যকে তাদের সীমানায় স্ক্রিনিং টিম বসাতে হবে এবং সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত মাঙ্কি পক্স কেস ধরা পড়লে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সংক্রমণ না ছড়িয়ে যায়।