প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল কেরোসিন তেল সেঞ্চুরি পার করতে চলেছে। আর এবারে শনিবারের বাজারে সে রকমটাই দেখতে পেল ভারতের মধ্যবিত্ত মানুষেরা। একদিকে তো পেট্রোল ডিজেল থেকে শুরু করে নানা জিনিসের মূল্য বৃদ্ধিতে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। তার মধ্যে এবার গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে রবিবারের জ্বালানি তেলের এই বিশাল মূল্য বৃদ্ধি। এই মাসেই কেরোসিন তেলের ইস্যু প্রাইস এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ টাকা প্রতি লিটার। প্রত্যেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাই বৃদ্ধি করেছে তাদের তেলের দাম। অর্থাৎ গত সাত মাসে ৫৩ টাকা দাম বৃদ্ধি হল কেরোসিন তেলের। যার ফলে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের।
কতটা বৃদ্ধি পেল কেরোসিন তেলের দাম? আপাতত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যে দাম ছিল ৪৮ টাকা ৫৫ পয়সা, জুলাই মাসে এই দাম দিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০১ টাকা ৫৮ পয়সায়। অর্থাৎ সাধারণ গরিব মানুষকে এবারে এক লিটার কেরোসিন তেল কিনতে ১০৮ টাকা ৫৮ পয়সা করে দিতে হবে। রান্নার গ্যাসের দাম মোটামুটি এক হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই ভেবেছিলেন তারা কেরোসিন তেল ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু সেদিকেও খুব একটা সুবিধা হবে না সাধারণ মানুষের।
উল্লেখ্য বিষয়টি হলো, পেট্রোল ডিজেলের দাম এর আগেও বহুবার বৃদ্ধি পেয়েছে। তার সাথে সাথেই নিতো প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া দাম বৃদ্ধি হয়েছে ভারতে। এই অবস্থায় এবার যদি গরীব মানুষের জ্বালানির দাম আরো বেড়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা।
অন্যদিকে কেরোসিন দাম বাড়ার পাশাপাশি এই তেলের উপরে পাঁচ শতাংশ হারে জিএসটি নির্ধারিত হয়। এই পরিস্থিতিতে ডিলাররা কেরোসিনের মজুদ রাখার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় যদি আরও চলতে থাকে তাহলে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারাবে। কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত বলছেন, দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বরাদ্দের ৫০ শতাংশ কেরোসিন তোলা যাচ্ছে না। জুলাই মাসে বিক্রি কার্যত বন্ধ। এত বেশি দাম হওয়ার কারণে কেউ কেরোসিন তেল কিনতে আসছেন না। তাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদেরকেও।