ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির জেরার মুখে পড়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কিছুদিন আগেই কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে হলো সোনিয়া গান্ধীকে। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এমন ব্যবহারের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রাহুল গান্ধীসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ। তবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেই সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নয় সংসদ চত্বর। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে রাহুল গান্ধীসহ বেশ কয়েকজনকে। তাদেরকে টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসলে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ মা সোনিয়া গান্ধীকে ইডি দপ্তরে পৌঁছে দেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেস নেতারা বিক্ষোভ করতে পারে এই আশঙ্কায় আগে থাকতেই নিরাপত্তার বলয়ে ঘেরা হয়েছিল ইডি ভবনকে। এরপর সোনিয়া গান্ধীকে ইডি দপ্তরের সামনে ছেড়ে সংসদে আসেন রাহুল গান্ধী। আর সেখানেই তিনি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। তাঁর অভিযোগ এই যে ইডি অপব্যবহার করছে। ইডির অপব্যবহার বন্ধ হোক এই লেখা পোস্টার হাতে দেখা যায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, মল্লিকার্জুন খারগে প্রমুখদের।
সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখানোর পর কংগ্রেস নেতারা রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে মিছিল এগোতে শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। প্রাথমিক বাধা পেরিয়ে কংগ্রেস এগিয়ে গেলে পুলিশ সক্রিয় হয় এবং বিজয় চক চত্বরে রাহুল গান্ধীদের বিক্ষোভ অবস্থানে বসতে বাধা দেয়। পাল্টা কংগ্রেস সাংসদরা প্রতিরোধ গড়তে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এরপর রাহুল গান্ধীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। ছাড় পাননি মহিলারাও। পুলিশ রাহুল গান্ধীসহ মোট ৭৫ জন কংগ্রেস নেতাকে আটক করে। রাহুল তখন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “দেশ পুলিশ স্টেট, আর মোদী হচ্ছেন রাজা।”