নিউজরাজ্য

মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে হবে কি ভারী বৃষ্টি? আগামী দিনে বাংলার কোন জেলায় কত বৃষ্টি?

দক্ষিণবঙ্গের উপর একটি অক্ষরেখা অবস্থান করছে কিন্তু তা অত্যন্ত দুর্বল

Advertisement

বৃষ্টির ঘাটতি অব্যাহত বঙ্গজুড়ে। জুন এবং জুলাইয়ে ভরাডুবি হয়েছে লাগাতার। আগামী আগস্ট মাসেও দক্ষিণবঙ্গে খুব একটা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছে না হাওয়া দপ্তর। বরং জুলাই মাসের শেষে অর্থাৎ আগামী চার-পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে মূলত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আপনাদের জানিয়ে রাখি, জুন মাসে ৪৯ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। জুলাই মাসেও এখনো সেই আশানুরূপ বৃষ্টি একদিনও হয়নি। সহজে বলা যেতে পারে জুলাই মাসেও বৃষ্টির ঘাটতে থাকবে অনেকটাই। শ্রাবণ মাসে যেখানে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয় সারাদিন সেখানে দক্ষিণবঙ্গ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত পেয়েছে আপাতত।

জুলাই মাসের এই শেষ কয়েক দিনেও হালকা বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে। জানা গিয়েছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের উপর একটি অক্ষরেখা অবস্থান করছে কিন্তু তা অত্যন্ত দুর্বল। রাজস্থান থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড হয়ে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে এই অক্ষরেখা যাচ্ছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর দুর্বল রয়েছে। তাই জুলাই মাসের শেষ কয়েকদিনেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত ছাড়া ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

আজ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলী, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়াতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তারপর আগামী শুক্রবার ও শনিবার এমনকি রবিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বৃদ্ধি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আকাশ মেঘলা থাকলেও সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের এই বৃষ্টির ঘাটতি চিন্তায় ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। মৌসুম ভবনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমছে প্রত্যেক বছর। শেষ ৩০ বছরের নিরিখে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এত কম বৃষ্টি আগে কখনো হয়নি।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে এই বৃষ্টির ঘাটতি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে আছে এমন নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয়, বিহার এবং নাগাল্যান্ডে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে।

Related Articles

Back to top button