শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবং পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটির বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হওয়া নিয়ে সরগরম রয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতি। আপাতত ইডি হেফাজতে জেরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। এখন ইডির কাছে একটাই প্রশ্ন এত বিপুল পরিমাণ টাকা কার? অর্পিতার না প্রাক্তন মন্ত্রীর? এই প্রশ্নে ঘুম ছুটছে বঙ্গবাসী তথা ইডি আধিকারিকদের। এরইমধ্যে গত শুক্রবার যখন ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দুইজনকে আনা হয়েছিল, তখন অর্পিতা দাবি করেছিলেন, “এই টাকা আমার নয়৷ আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে আমার ঘরে টাকা ঢোকানো হয়েছে৷” এই বক্তব্যের পর সরাসরি সন্দেহের তীর প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে যাচ্ছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা। এরপর ২ দিন যেতে না যেতেই আবার রথতলার আরেক ফ্ল্যাট থেকে ইডি আধিকারিকরা ২৭ কোটির বেশি নগদ টাকা পান। এছাড়া মিলিছে তারি তারি সোনার ও রুপার গয়না। এছাড়াও খোঁজ মিলছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। এত ধন সম্পত্তি আসলে কার? বা কোথা থেকে এত টাকা এসেছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি আধিকারিকরা।
এরমধ্যেই গত শুক্রবার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অর্পিতা মুখোপাধ্যায় পৌঁছালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই টাকা আমার নয়৷ আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে আমার ঘরে টাকা ঢোকানো হয়েছে৷” তবে এখন প্রশ্ন থাকছে, তাঁর অনুপস্থিতিতে কেউ কীভাবে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢুকে কোটি কোটি টাকা রেখে গেল? সেক্ষেত্রে তাঁর ঘনিষ্ঠ কারও কাছেই ফ্ল্যাটের চাবি থাকত, এমন সম্ভাবনাই সামনে আসে৷ এছাড়া প্রাক্তন মন্ত্রীর কত টাকা আছে ৫১ কোটির মধ্যে, সেটাই এখন তদন্তকারীদের প্রধান প্রশ্ন।