টলি সিনেমা এবং রচনা ব্যানার্জি নামটা যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তার অসাধারণ সাবলীল অভিনয় মন জয় করে নিয়েছিল গোটা বঙ্গবাসীর। এখনো অব্দি রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ান পরিচালনা করে এই অভিনেত্রী জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। এই রচনা ব্যানার্জির সাথে এককালে অনেক সিনেমা করেছেন জনপ্রিয় টলি অভিনেতা বুম্বাদা ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যে শুধুমাত্র রচনা ব্যানার্জীর কো-স্টার ছিলেন এমনটাই নয়, ছিলেন একজন বন্ধু তথা গাইড। এককালে টলি জগতের সেরা জুটি ছিল এই প্রসেনজিৎ রচনা। বাঙালিকে একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দুজনের সম্পর্ক কেন যে সারা জীবন বন্ধুত্বের গণ্ডিতেই আটকা পরে রইলো, তা নিয়ে এখনও আক্ষেপ প্রকাশ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে অবাক হলেন নিশ্চয়ই! মনে করছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এমন কথা কোনদিন বলতে পারে নাকি। বিশ্বাস না হলেও আপনাদের জানিয়ে রাখি যে প্রকাশ্য জাতীয় টেলিভিশনে এই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন রচনা ব্যানার্জি। আসলে কয়েক বছর আগে টক শো ‘অপুর সংসার’ এ উপস্থিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সামনে বসে তিনি এমন দাবি করেন। তিনি বলেছেন, “কম করে ৩০-৩৫ টা ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছি। তারপরও একবারও মনে হলো না রচনা ব্যানার্জীর সঙ্গে একটু প্রেম করা যেতে পারে? প্রেমিক মানুষ তো, এটা মনে হয়নি। এটা আমার প্রশ্ন, রচনাকেও দেখতে সুন্দরী। কখনও মনে হয়নি একটু হাত ধরে ঘোরা যায়, একটু প্রেম করা যায়। অথচ আমরা নাকি ৩৫ টা ছবির নায়ক নায়িকা।”
এমন মন্তব্য শুনে আপনার মতই রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয় যে পুরোটাই তিনি নিছক মজা করে বলেছেন। এমনকি ওই শোতে খেলার একটি অংশ হিসেবে রচনা ব্যানার্জি, বুম্বাদা প্রসঙ্গে বলেন, “এই ইন্ডাস্ট্রির শিয়াল হল বুম্বাদা। শিয়ালের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রসেনজিৎ এর তুলনা করা যায়। ওর মত বুদ্ধিমান টলিউডে কজন আছে? কোথায় কিভাবে চলতে হয় তিনি খুব ভালোভাবে জানেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জুন মাসে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল এই রচনা প্রসেনজিৎ জুটিকে। তখন প্রসেনজিৎ আয় খুকু আয় সিনেমার প্রচারের জন্য এই রিয়েলিটি শোতে এসেছিল। শোয়ের অংশের একটি ক্লিপ তুলে নিয়ে রচনা ব্যানার্জি পোস্ট করেন যেখানে দেখা যায় তিনি খোশমেজাজ এ গল্প করছেন কো স্টারের সাথে। যা দেখে নেটিজেনরা মন্তব্য করেন, “তোমাদের রসায়ন আজও সেরা!”