আপাতত ব্যাঙ্কশাল আদালতের রায় অনুযায়ী ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। তবে গত বৃহস্পতিবার ইডি আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে তিনি অর্পিতাকে খুব একটা ভালো চেনেন না। তাদের মধ্যে বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই। আর এরপর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে একটাই প্রশ্ন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক কি? কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩১ টি জীবন বীমার পলিসিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নমিনি করেছেন অর্পিতা? তবে এই সূত্র ধরেই খোঁজ করতে গিয়ে উঠে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য।
জানা গিয়েছে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রত্যেকটি বিমার পলিসিতে নমিনি ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে “আঙ্কেল” বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এটাই কি সত্যি? কি করে জানা গেল? এইসব প্রশ্ন নিয়ে রীতিমত দ্বন্দ্বে গোটা বঙ্গবাসী। আসলে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ৩১ টি জীবন বীমার তথ্য উদ্ধার করে ইডি। এরপর এলআইসি ও অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে সমস্ত বিমার কাগজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজের “আঙ্কেল” বলে দাবি করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
আসলে জীবন বীমার কাগজে নাম, ঠিকানা ও নমিনির নাম থাকলেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখ করা থাকে না। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রথমে ইডি আধিকারিকরা এলআইসি এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর যোগাযোগ করা হয় অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে। এরপর ইডিএমএস পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থমন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শেষমেষ অপা জুটির সম্পর্কের সমীকরণ সামনে আসছে। বহু চর্চিত সম্পর্ক আপাতত খাতায়-কলমে দেখাচ্ছে যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাকু ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।