গরমের মাঝে বৃষ্টি কি স্বস্তি না আনে কিন্তু তার সাথে সাথেই ঘরে বাইরে পোকা মাকরের সমস্যাও বৃদ্ধি হয়। বর্ষাকালে প্রায়ই বাড়িতে পোকামাকড় ও মাকড়সার হামাগুড়ি দিতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এ মৌসুমে ঘরে ঘরে মশা, মাছি, পিঁপড়া ও আরশোলার আতঙ্কও অনেক বেড়ে যায়। যা পরবর্তীতে অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এমন পরিস্থিতিতে এই বৃষ্টির পোকামাকড় থেকে মুক্তি পেতে ঘরে বসেই অবলম্বন করতে পারেন কিছু সহজ টিপস। আসুন জানি কি করলে এইসব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
বৃষ্টির পোকামাকড় থেকে রেহাই দেবে এই ব্যবস্থাগুলো-
১) মোছার সময় ফিনাইলের পরিবর্তে ভিনেগার যোগ করুন-
ওয়াইপের জলে ভিনেগার যোগ করলে মেঝেতে উজ্জ্বলতা আসে এবং পিঁপড়া ও মাকড়সা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি নিম পাতা পিষে মোছার জলে মিশিয়ে নিতে পারেন। ফিটকিরি, লেবুর রস এবং কর্পূরও কার্যকর প্রতিকার হতে পারে।
২) কর্পূরের ব্যবহার:
বর্ষাকালে ঘরে আসা পোকামাকড় এবং কীটপতঙ্গ থেকে মুক্তি পেতে কর্পূরের ঘরোয়া প্রতিকার খুবই কার্যকর। এর জন্য এক থেকে দুটি কর্পূর জ্বালিয়ে ঘরের যেকোনো স্থানে রাখুন। এছাড়া এর তেলে তুলার উল ভিজিয়ে দেওয়াল বা হালকা গরম জায়গার কাছে রাখুন। এর তীব্র গন্ধের কারণে পোকা-মাকড় পালিয়ে যায়।
৩) ফুলের গন্ধও একটি শক্তিশালী প্রতিকার-
গাঁদা ফুল অন্যান্য গাছের জন্য একটি প্রহরী হিসাবে কাজ করে। অন্যান্য গাছপালাকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি গাঁদা মশাকেও দূরে রাখে। এছাড়া মশা বা মাছি উভয়ই ল্যাভেন্ডারের গন্ধ পছন্দ করে না। পিটুনিয়া নামের ফুলটি পঙ্গপালকে তাড়িয়ে দেয়, ক্রাইস্যান্থেমাম দিয়ে আপনি পিঁপড়া, আরশোলা, মাইটের মতো পতঙ্গ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৪) ভ্যাসলিন রেসিপি:-
ঘরের কোণে যেখানে পিঁপড়া প্রচুর আসে সেখানে ভ্যাসলিন লাগান বা বেবি পাউডার ছিটিয়ে দিন। পিপারমিন্ট তেল মাকড়সার মতো অনেক পোকামাকড়কে দূরে রাখে। এই উপায়ে সব ধরনের পোকামাকড় থেকে মুক্তি দেবে।
এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।