গরু পাচারে মামলায় শুরু হলো সিবিআই তৎপরতা। গতকাল দশমতলা বেড়ানোর পরেই বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। আজ সকালেই ১০-১২টি গাড়ি কনভয় নিয়ে সিবিআই পৌঁছে গিয়েছে অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে ফেলে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন সিবিআই অফিসাররা। গরু পাচার মামলায় দশবার অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই কিন্তু কেবলমাত্র একবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়িয়েছেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আজকে ওই চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাব খাটিয়ে চিকিৎসককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা তা জানতে চাওয়া হবে ওই চিকিৎসকের কাছে। এছাড়াও কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিৎসক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতে গিয়েছিলেন তাও জানতে চাইছে সিবিআই।
সূত্রের খবর সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে একজন ব্যাংক কর্মীও অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গেছেন। অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে যে পুলিশকর্মী সর্বক্ষণ মোতায়েন থাকেন তাকেও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর। তবে তার প্রধান নিরাপত্তা রক্ষীকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দোরগোড়ায় পৌঁছেছিল সিবিআই এর একটি দল। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুরো এলাকায় ঘিরে ফেলা হয়েছে জওয়ানদের দিয়ে। ডাকা হয়েছে এসবিআই এর একজন ব্যাংক কর্মীকেও। বেশ কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে। এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কলকাতা নিজাম প্যালেস থেকে এবং দুটি গাড়ি আসানসোলের সিবিআই দপ্তর থেকে এসেছে বলে সূত্রের খবর। জল্পনা উঠতে শুরু করেছিল অনুব্রত মণ্ডলের দশম বারের সিবিআই হাজিরা এড়ানো ঠিক পরের দিন কি এবারে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে চলেছে সিবিআই?