বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই নিয়ে যাওয়ার পর থেকে কার্যত উত্তাল গোটা রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হদিশ পেতে কালঘাম ছুটছে সিবিআই কর্তাদের। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। পরের দিন শুক্রবার দুপুরে তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিকেলে তাঁকে আবার নিজাম প্যালেসে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিজাম প্যালেসে আসার পর থেকে সামান্য কিছু মুখে তুললেও ভারী কিছু খাবার খাননি বা আবদার করেননি কেষ্ট মন্ডল। গতকাল শুক্রবার মোটামুটি সারাদিন মুড়ি খেয়ে কাটিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। তারপর আজ শনিবার মধ্যাহ্নভোজনে অত্যন্ত সাধারণ খাবার খেয়েছেন তিনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে নিজাম প্যালেসে এসে শুধু মুড়ি খেয়ে দিন কেটেছে তাঁর। তবে আজকে তার জন্য মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। কি খেয়েছিলেন কেষ্ট মন্ডল?
সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছে যে আজ তাকে শুধু মুড়ি খেয়ে থাকলে চলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল মুড়ি ছাড়া অন্য কিছু খেতে হবে। তখনই অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দেন তিনি তেল মশলা দেওয়া বাইরের কোনো খাবার খাবেন না। শুধু ভাত, ডাল ও আলুসিদ্ধ খেতে দিলেই তিনি খুশি। এরপর সিবিআই দপ্তরে রান্না করে তাঁকে দুপুরে খেতে দেওয়া হয়। আপাতত কেষ্ট মন্ডল সিবিআই গেস্ট হাউসে আছেন। মুড়ি ছাড়া মাঝে মাঝে তিনি চা বিস্কুট খাচ্ছেন।
আসলে উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ ও ফিসচুলার মত নানান জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই তিনি বাইরের খাবার খেতে চাইছেন না। সিবিআই কর্তাদের তিনি এও বলেছেন, “গ্রামের ছেলে একটু মুড়ি পেলেই হবে।” তবে তৃণমূল নেতা মুড়ি খেয়ে যাতে দুর্বল না হয় পড়েন তাই মধ্যাহ্নোভোজনের জন্য একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডাল, ভাত ও আলুসিদ্ধ করে দিয়েছিল সিবিআই দপ্তর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে রয়েছেন কেষ্ট মন্ডল। এতদিনে সিবিআই আধিকারিকদের সামনে ফোনে লাউডস্পিকার অন করে দুবার মাত্র মেয়ের সাথে কথা বলেছেন তিনি।