ক্রমশই ডিজিটাল মাধ্যমের উপরে জোর দিয়ে অফলাইন টিকিট বিক্রির উপরে রাজ টানতে শুরু করেছে রেল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ব রেলের একজন কর্তা এই প্রসঙ্গে বললেন, “ধীরে ধীরে সব টিকিট কাউন্টার বন্ধ করা হবে। তবে এখনই সেরকম কিছু করা হচ্ছে না বলে খবর।” কিছুদিন আগে জি বিজনেসের একটি রিপোর্ট থেকে দাবি করা হয়েছিল, রেলে তরফে ৩০০ টি টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভুয়ো আইডি প্রুফ দিয়ে সংরক্ষিত টিকিট কাটা রুখতে তিন দশকের পুরনো সংরক্ষিত টিকিট কাটার নিয়ম ব্যবস্থায় বদল আনতে চলেছে ভারতীয় রেলওয়ে। এর জন্য গ্রান্ট থর্নটন নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে সমীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে রেল।
জানা গিয়েছে, এই কনসালটেন্সি ফার্ম সরকারি সংস্থা আইআরসিটিসির বর্তমান সিস্টেম খতিয়ে দেখে তার ভিত্তিতে সংস্থার রেল ব্যবস্থায় বদলের পরামর্শ দিতে পারে। এই সমস্যার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ বছরের শেষ নাগাদ পিআরএস সংস্কারের কাজ শুরু করতে চলেছে রেল। বর্তমানে যে রিজার্ভেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে তা প্রায় ৩০ বছরের পুরনো। এই ব্যবস্থা সাধারণ যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ঝক্কির।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে ২০০৫ সালে রেলওয়ে ই টিকিটিং চালু করলে, যাত্রীরা বেশ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু নতুন সিস্টেমের সার্ভারে মাঝেমধ্যেই ওয়ার্ক লোড পড়ে যায় । রেলওয়ে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রেলের ৮০ শতাংশ টিকিট আইআরসিটিসির মাধ্যমে কাটা হয়ে থাকে। রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে, সংসদীয় কমিটি টিকিট কাউন্টার বন্ধের পরামর্শ দিয়েছে রেলকে। ধাপে ধাপে টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে আইআরসিটিসির ব্যবসা আরো বৃদ্ধি করতে পারে ভারতীয় রেলওয়ে।