২০২১% ঋণের বোঝা, দেনার দায়ে একেবারে ডুবতে বসেছে গৌতম আদানীর গ্রীন এনার্জি সংস্থাটি
এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্ত সংস্থা হল গৌতম আদানির এই সংস্থা
দেনার দায়ে জর্জরিত গৌতম আদানি। নেট পাড়া থেকে শুরু করে ভারতীয় শিল্প মহল হৈচৈ শুরু হয়েছে সমস্ত জায়গায়। এই মুহূর্তে ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হলেন গৌতম আদানি। আর তার মাথাতেই নাকি চেপে রয়েছে বিরাট ঋণের বোঝা। বছর কয়েক আগে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল দেশের প্রতি ৫ মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণের মধ্যে মার্কিন ডলার গৌতম আদানি বা মুকেশ আম্বানির জন্যই নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষা সত্যি কিনা সেইটা নিয়ে এখনো পর্যন্ত দ্বন্দ্ব বজায় থাকলেও, গৌতম আদানি সাম্রাজ্যের ঋণের বোঝা যে নেহাত কম নয়, সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা।
সাম্প্রতিক সময়ে একটি নতুন সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে, আদানি গ্রীন এনার্জি লিমিটেড, যেটি আদানি গোষ্ঠীর সাতটি নথিভুক্ত সংস্থার মধ্যে অন্যতম, সেটি একেবারে ঋণের দায় জর্জরিত। যদি হিসাব করে দেখা যায় তাহলে এই সংস্থার ঋণের পরিমাণ শতাংশের হিসেবে ২০২১ শতাংশ। এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্থ সংস্থা হল গৌতম আদানির, আদানি গ্রীন এনার্জি লিমিটেড। তবে এই তালিকায় প্রথম হলো চীনের দাতিং হুয়াইন ইলেকট্রিক পাওয়ার এন্ড কোম্পানি। চীনের এই কোম্পানিটির ঋণের পরিমাণ ২৪০০ শতাংশের থেকে কিছুটা বেশি। দেনার দায় একেবারে জর্জরিত এই সংস্থা।
তবে নতুন এই রিপোর্ট অনেকটাই বেশি বিশ্বাসযোগ্য কারণ এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা ব্লুমবার্গ। বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম গৌতম আদানীর সাতটি সংস্থার মধ্যে সব থেকে বেশি ঋণগ্রস্থ সংস্থা হল আধানি গ্রীন এনার্জি। কিন্তু এই বিশাল পরিমাণ ঋণের কারণ কি? আর্থিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ঋণের পরিমাণ এর মূল কারণ ব্যাপক অধিগ্রহণ নীতি। এই সংস্থা তথা আদানি গোষ্ঠীর ব্যাপক এবং দ্রুত অধিগ্রহণ নীতির ফলে এতটা বাড়াবাড়ি পরিমাণ ঋণ বৃদ্ধি হয়েছে আদানি সংস্থার।
তবে শুধুমাত্র আদানি গ্রীন এনার্জি নয়, দেনার দায় ডুবে রয়েছে আধানের গোটা সাম্রাজ্য। তবে ঋণ গ্রহণ করা থামছে না। সাম্প্রতিককালেই স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন গৌতম আদানি। পুনঃ নবীকরণযোগ্য ব্যবসায় সেই টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা আছে গৌতমের। তবে দিনের এই বিপুল বোঝা থেকে কিভাবে বেরোনো যায় এবং কিভাবে এই ঋণ নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় এখন গৌতম আদানি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেই দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।