৫০০ টাকা বিনিয়োগ করে রিটার্ন পেতে পারেন কোটি টাকা, সরকারি এই প্রকল্পের ব্যাপারে জানেন?
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্টে প্রতিবছর টাকা জমা করে আপনারা প্রচুর টাকা রিটার্ন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবেন আয়করের ছাড়
অবসর গ্রহণের পর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য আগে থেকে অর্থ সঞ্চয় করা অত্যন্ত দরকার। কর্মজীবনের শুরু থেকেই বিনিয়োগ শুরু করা এর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা নিয়ে কিন্তু অনেকের মধ্যেই সংশয় থেকে যায়। এই অর্থ সঞ্চয়ের অন্যতম পথ হলো পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। অবসর কেন্দ্রিক এই বিনিয়োগ পরিকল্পনায় মাসিক অল্প টাকা বিনিয়োগ করে অবসরের পর আপনারা পেয়ে যাবেন মোটা টাকা। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্টে প্রতিবছর ৭.১ শতাংশ করে রিটার্ন পাওয়া যায়। এই বিনিয়োগে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই, তবে পিপিএফ ম্যাচিওর হওয়ার পর যে টাকা রিটার্ন বাবদ পাওয়া যায় সেটা কিন্তু সম্পূর্ণরূপে করমুক্ত।
পিপিএফ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিবছর আপনারা ৪৬ হাজার ৮০০ টাকা করে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। তবে যারা ৩০ শতাংশ আয় করেন স্ল্যাবের মধ্যে পড়েন তারাই এই বার্ষিক কর ছাড় পেতে পারেন। তবে বাকিদের ক্ষেত্রে করের হারের উপরে নির্ভর করবে ছাড়ের পরিমাণ। এই মুহূর্তে ব্যাংকে অথবা যে কোন পোস্ট অফিসে এই পিপিএফ একাউন্ট আপনি খুলতে পারেন।
এই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং তা মেইনটেইন করতে কোন অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। নূন্যতম ৫০০ টাকা থেকে এই বিনিয়োগ আপনি শুরু করতে পারবেন এবং বার্ষিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন আপনারা এই ধরনের অ্যাকাউন্টে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট ১৫ বছরে পরিপক্ক হয়ে থাকে। এছাড়া পাঁচ বছরের ব্যবধানে এই অ্যাকাউন্টের মেয়াদ আপনি বৃদ্ধি করতে পারেন।
যদি আপনি ২৫ বছর বয়স থেকে পিপিএফ একাউন্ট এ বিনিয়োগ শুরু করেন, তবে ৬০ বছর বয়সে ২.২৬ কোটি টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করতে পারেন। যদি আপনি পিপিএফ অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকা জমা রাখেন, তবে প্রতিবছর ১০,৬৫০ টাকা পর্যন্ত আপনি রিটার্ন পেতে পারেন।