কথায় আছে দেবী দুর্গা মর্তে সাজতে আসেন কলকাতার দাঁ বাড়িতে। এই দাঁ বাড়ির পুজো শুরু হয় ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে। এই পুজো প্রথম শুরু করেন বকুল চন্দ্র দাঁ।
তবে এই পুজো তার পুত্র শিব কৃষ্ণ দাঁ এর নামে পরিচিত। এই দাঁ বাড়ির ঠাকুরদালান এত সুন্দর যা দেখলে সকলেই মুগ্ধ হয়ে যায়। কথায় বলে ভাগ্যে না থাকলে কিছুই হয় না। তেমনই ভাগ্যের হাত ধরেই শিব কৃষ্ণ দাঁ এই দাঁ বাড়িতে আসেন।
বকুল চন্দ্র দাঁ অনেক ধনবান ও অনেক বড় জমিদার হলেও তার কোনো উত্তরাধিকারী ছিল না। তাই বকুল চন্দ্র দাঁ তার এক আত্মীয়ের পুত্র শিব কৃষ্ণ দত্তকে দত্তক নেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৪ বছর। তারপর থেকেই শিব কৃষ্ণ এই দাঁ পরিবারের উত্তরাধিকারী হয়ে যান। ঠিক সেই বছরই ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে বকুল চন্দ্র দাঁ তার উত্তরাধিকারী পাওয়ার আনন্দে এই দূর্গা পূজার সূচনা করেন।
এই শিব কৃষ্ণ দাঁ দেখতে কুৎসিত হওয়ার কারণে তিনি সবসময় গয়না পরে ঘুরে বেড়াতেন। হঠাৎ তার মনে একদিন উদয় হয় মাকেও তিনি এভাবে গয়নাতে ভরিয়ে দেবেন। এরপর তিনি ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে গয়না এনে মাকে সাজিয়ে দেন। তবে এই গয়না বর্তমানে আর নেই। কিছু কিছু জিনিস এখনো রয়েছে।
শুধু দুর্গাপূজায় নয় আরো অনেক পুজো দাঁ পরিবারে হয়ে আসছে। এই পুজো করতে গিয়ে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবুও তারা এই পুজো থেকে পিছপা হন না এবং তারা সকলে মাকে সাজাতে প্রস্তুত।