কথায় বলে, হাফ অফ ইন্ডিয়া ট্রাভেল বাই ট্রেন। কথাটা প্রকৃত অর্থে সত্যি। প্রতিদিন অত্যন্ত অল্প টাকার বিনিময়ে হাজার মানুষজনকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে। তবে দীর্ঘ রেল যাত্রায় যেমন স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে তেমনি কিন্তু নানা অভিযোগের জায়গাও রয়েছে। মাঝেমধ্যেই আইআরসিটিসি এর বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ ওঠে খারাপ পরিষেবা প্রদানের জন্য। এবারে তার ব্যতিক্রম হলো না। সম্প্রতি আইআরসিটিসি এর খারাপ পরিষেবার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি নিজের যাবতীয় খুব উগ্রে দিয়েছেন। টুইটারে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘irctc কি ধরনের রিজার্ভেশন সিস্টেম মেনে চলে তা আমার বোধগম্য নয়। ঠিক কিভাবে একজন ৭০ বছরের মহিলাকে আইআরসিটিসি আপার বার্থের সিট প্রদান করে থাকে? আইআরসিটিসি কি মনে করে, ৭০-৮০ বছরের নাগরিকরা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠবেন?’
ওই ব্যক্তি আরও লেখেন, যখন একটা গোটা পরিবার একসঙ্গে যাত্রা করছে তখন কিভাবে সবার বসার আসন একসঙ্গে পরে কিন্তু একজনের আসন অন্য কোচে চলে যায়? প্রসঙ্গত, নিজের পরিবার নিয়ে দূরপাল্লার একটি ট্রেনে যাতায়াত করছিলেন ওই ভদ্রলোক। সেখানেই তার ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের সিট পড়েছে একটি অন্য কোচে এবং সেটি হলো আপার বার্থ। জানিয়ে নিজের খবর দিয়েছেন ওই নাগরিক।
এই বিষয়টি নিয়ে উত্তর দিয়েছে আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষ। ওই টুইটের জবাবে আইআরসিটিসি বলেছে, কম্পিউটার রিজার্ভেশন সিস্টেম এর মাধ্যমে কাটা টিকিটের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য লোয়ার বার্থ এর টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা তখনই সম্ভব যখন লোয়ার প্রার্থীর টিকিট থাকে। যদি লোয়ার বার্থের টিকিট না থাকে তাহলে ভারতীয় রেলওয়ে কিছু করতে পারেনা।