রৌদ্রপ্রখর দিন ও প্যাচপ্যাচে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। বলা ভালো, দক্ষিণবঙ্গবাসীর। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর নতুন মাসের শুরুর দিনেই জানিয়ে দিয়েছে যে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, দক্ষিণবঙ্গের ভাগ্যে সেই হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত। আদ্রতাজনিত অস্বস্তি অবশ্যই ভোগাবে দক্ষিণবঙ্গকে। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘে ঢেকে থাকলেও প্রবল বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। বেলা গড়ালে হয়তো দু এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকেই প্যাচপ্যাচ ঘর্মাক্ত দিন কাটাতে হবে শহরবাসীকে।
সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেড়ে হয় ৩৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৯ শতাংশ। গতকাল বুধবার কলকাতা শহরতলিতে বৃষ্টি হয়নি। তবে দক্ষিণবঙ্গবাসী বৃষ্টির ঘাটতিতে নাজেহাল হলেও শেষ কয়েকদিনে ভালই বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে।
আজ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার জেলায়। বাকি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই উত্তরবঙ্গে নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে এবং পার্বত্য রাস্তায় ধস নামার সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আসলে মৌসুমী অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে এবং একটি ঘূর্ণবাত্য রয়েছে যা অন্ধপ্রদেশের উপকূলে একটি অক্ষরেখায় রয়েছে। আর এর জেরেই আগামী কয়েক দিন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।