VIRAL: কিং কোবরা সাপকে নিয়ে খেলা করছিল একটি ছেলে, হঠাৎ করেই সাপটি করলো আক্রমণ, ভাইরাল ভিডিও
এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ছেলেটি কিং কোবরা সাপটিকে সম্পূর্ণরূপে নিজের নিয়ন্ত্রণে করে ফেলেছে
দুনিয়ায় এমন খুব কম মানুষই থাকবেন যারা হয়তো সাপ কে ভয় পান না। এমনিতে সাপ নামক প্রাণীটি ঠান্ডা রক্তের এবং অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির প্রাণী হলেও সে যদি ভয় পায় তাহলে সামনে যাকে দেখতে পাবে তাকেই আক্রমণ করে উঠবে। তাই সাপের সঙ্গে মানুষের বিশেষ একটা সম্পর্ক ভালো হয় না। ইন্টারনেট দুনিয়ায় মাঝেমধ্যেই আমরা সাপের নানা রকম ভিডিও দেখতে পাই যা দেখে আপনারা একেবারে চমকে যাবেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি নতুন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি ছেলে একটি পূর্ণবয়স্ক কিং কোবরার সঙ্গে খেলছে। বিশ্বের সর্বাধিক বিষধর সাপগুলির তালিকায় কিং কোবরা অন্যতম। তাই কিং কোবড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুন ভাইরাল হয়ে থাকে।
তবে, সম্প্রতি ইন্টারনেটের ভাইরাল হওয়া এই নতুন ভিডিওটি একেবারেই অন্যরকম। সাধারণত ইন্টারনেটে যে সমস্ত কিং কোবড়ার ভিডিও ভাইরাল হয় সেখানে দেখা যায় এই ভয়াল ভয়ংকর সাপটিকে দেখে স্থানীয় মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে, সম্প্রতি যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় ১২ ফুট দৈর্ঘের একটি কিং কোবরাকে নিজের হাতে ধরে তার সঙ্গে ভিডিও তৈরি করছে একজন ইউটিউবার। ভিডিওটি দেখে মনে হবে না যে সেই ছেলেটি কিং কোবরাকে ভয় পেয়েছে। বরং সব সময় মনে হবে, ছেলেটি যেন ওই বিষধর সাপটিকে নিয়ন্ত্রণ করে রয়েছে। এমন ভাবেই ওই কিং কোবরাকে ছেলেটি নিয়ন্ত্রণ করছে, যেন মনে হচ্ছে ওই কিং কোবরা ছেলেটির বন্ধু। আর ভিডিওটির শেষে দেখা যায়, ওই ছেলেটি কিং কোবরা সাপটিকে আবারো জঙ্গলে ছেড়ে দিলো।
কিং কোবরার এই বিশেষ ভিডিওটি মূলত ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। ইতি মধ্যেই ৭৮ লাখ মানুষ এই ভিডিওটি দেখেছেন এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ এই ভিডিওটি লাইক করেছেন। এই ভিডিওটি কিছুটা পুরনো হলেও সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়ে উঠেছে এবং অনেকেই কমেন্ট বক্সে ছেলেটির বিরুদ্ধে প্রশংসা করছেন। এই ভিডিওটি দেখে একজন ইউটিউব ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আপনি কিন্তু রিয়েল লাইফ হিরো। আপনি একজন মহাপুরুষ। ঈশ্বর আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ভালো রাখুন।” আবার অন্য একজন ইউটিউব ব্যবহারকারী এই ভিডিওটি দেখে নিজের বিস্ময় ব্যক্ত করেছেন।