উত্তরবঙ্গের হোটেল বা গাড়ি ব্যবসায়ীদের এতদিন পর্যন্ত ছিল আক্ষেপ। ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বাড়তি ট্রেন না থাকার কারণে অনেকেই উত্তরবঙ্গে আসতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন ভারতীয় রেলের কাছে। এই অভিযোগের তালিকায় ছিলেন উত্তরবঙ্গের একাধিক গাড়ির মালিকরাও। অবশেষে তাদের কথা শুনলো ভারতীয় রেলওয়ে। পুজোর মরশুমে ভিড় এড়াতে বাড়তি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো পূর্ব রেলের তরফ থেকে। এবার শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত আরো বেশি সাপ্তাহিক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল ওয়ে।
প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১১:৫০ মিনিটে ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে পরের দিন সকাল ১০:১০ মিনিটে। তারপর আবার দুপুর ১২ টায় শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ওই স্পেশাল ট্রেন। ১৩ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর এর মধ্যে শিয়ালদহ নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ওই স্পেশাল ট্রেনটি চলবে। আর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এই ট্রেনের টিকিট বুকিং।
হাওড়া – রক্সৌল এবং শিয়ালদহ-গোরক্ষপুরের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে। ১ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত হাওড়া থেকে রক্সৌলের মধ্যে একটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। প্রতি শনিবার হাওড়া থেকে ট্রেনটি ছাড়বে রাত্রি ১১ঃ৫৫ মিনিটে এবং পরের দিন বিকেলে পৌনে চারটে নাগাদ ওই ট্রেন আবারো হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। অপরদিকে, ২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর এর মধ্যে চলবে শিয়ালদহ-গোরক্ষপুরের মধ্যবর্তী একটি ট্রেন। এই ট্রেনটি প্রতি রবিবার শিয়ালদহ থেকে রাত ১১:০৫ মিনিটে ছাড়বে এবং পরের দিন রাত ৭ টা ৫ মিনিটে গোরক্ষপুর থেকে রওনা দেবে শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে।
উৎসবের মৌসুমে এতগুলি বাড়তি ট্রেন পাওয়ার কারণে অত্যন্ত খুশি পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ। এমনিতেই অক্টোবর নাগাদ দূর্গা পূজার সময় ঘুরতে যাওয়ার চাপ থাকে ভ্রমণপ্রেমীদের। তাই সকলেই ট্রেনের টিকিট পাওয়ার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন এই সময়। তবে যেসব রুটে যাত্রীদের যাতায়াত বেশি থাকে এবং টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি থাকে, সেইসব রুটে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে। বাড়তি ট্রেন চালানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে টিকিটের সংকট অনেকটা কমবে বলে আশাবাদী যাত্রীরা। আসলে আয় বাড়াতে এমনিতেই নানারকম উপায় অবলম্বন করে রেল। তারই অংশ হিসেবে এবারে পূজোয় বাড়তি ট্রেন চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে যেমন একদিকে হবে যাত্রীদের সুবিধা, তেমনি আয় বাড়বে রেল কর্তৃপক্ষের।