সরকারের এই প্রকল্পে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করেই প্রতি মাসে পেয়ে যান ৬ হাজার টাকা, জানুন কিভাবে
এই বিশেষ সরকারি প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে অটল পেনশন যোজনা
প্রত্যেক চাকরিজীবী মানুষ চান যাতে রিটায়ারমেন্টের পর তাদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণভাবে থাকে সুরক্ষিত। বৃদ্ধ বয়সে তাকে যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয়, এরা থাকে প্রত্যেকটি মানুষের প্রধান লক্ষ্য। তবে এর জন্য সবথেকে আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হল ফিউচার প্ল্যানিং। সময় থাকতে থাকতে যদি আপনি ফিউচার প্ল্যানিং করেন তাহলে আপনি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন এবং আপনার বৃদ্ধ বয়সে দিনগুলিতে সহজে কোনো চিন্তা ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারবেন। যদি আপনিও এটি ভালো ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে এই খবরটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু যোজনা নিয়ে সামনে আসে যার মাধ্যমে দেশবাসীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকতে পারে। রিটায়ারমেন্টের পরে যাতে নিজেদের শেষ বয়সে সকলেই ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারেন এটাই হয় এই সমস্ত প্রকল্পের লক্ষ্য। এরকম একটি প্রকল্প হলো অটল পেনশন যোজনা।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই যোজনায় দেশবাসীরা খুবই সহজে বিনিয়োগ করতে পারবেন। নামমাত্র বিনিয়োগে ৬০ বছর পরে আপনারা প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পেয়ে যেতে পারেন। অন্যদিকে যদি আপনি এবং আপনার স্ত্রী একসাথে এই একাউন্ট খোলেন তাহলে একসাথে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত আপনি পেনশন পেতে পারবেন প্রতিমাসে। তবে সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। প্রতিমাসে ন্যূনতম কিছু টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনারা এই পেনশন পেতে পারেন। প্রাথমিকভাবে মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্প নিয়ে আসা হলেও অধিক জনপ্রিয়তার কারণে সমস্ত ভারতবাসীর জন্য এই অটল পেনশন যোজনা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই অটল পেনশন যোজনা গ্রহণ করতে হলে আপনার বয়স সীমা ১৮ বছর থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত হতে হবে এবং আপনাকে একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। অটল পেনশন যোজনাতে বিনিয়োগ করলে প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আপনি পেনশন পেয়ে যেতে পারবেন। তার পাশাপাশি অটল পেনশন যোজনায় আপনি অটো ডেবিট এর সুবিধা পেয়ে যাবেন, যার মাধ্যমে প্রতি মাসে আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কাটতে থাকবে এবং সেই যোজনার একাউন্টে যুক্ত হতে থাকবে। এর ফলে আপনার বৃদ্ধ বয়সে পেনশনের কোন অসুবিধা থাকবে না, এবং বারবার আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে না। ৬০ বছরের পরে যদি কোন পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হয় তাহলে সেই টাকা নমিনির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ভারত সরকারের তরফ থেকে।