মহারণ মোকাবিলার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রস্তুতি যে একদম সঠিক ছিল তা প্রমাণ করে দিল সাঁতরাগাছি এবং লালবাজার। বিজেপির নবান্ন অভিযানের আবহে রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে শহর কলকাতা এবং নবান্ন অভিমুখী একাধিক এলাকা। বেলা বাড়তেই বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে পুলিশে ছয়লাপ গোটা শহর। ইতিমধ্যেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গেরুয়া বাহিনীর মিছিল আটকাতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে চতুর্দিক। কিছুক্ষণ আগেই সাঁতরাগাছিতে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বাঁশ ছোড়ে। পাল্টা জল কামান এবং কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে শুরু করে পুলিশ। এছাড়াও হয়েছে দেদার লাঠিচার্জ।
আসলে বেলা ১:১৫ মিনিটে সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল নবান্নের দিকে। নবান্ন যাওয়ার দু কিলোমিটার আগেই পুলিশ আটকে দেয় ওই মিছিল বাহিনীকে। তবে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। ধস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং অনেকেই গার্ডরেল টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই মিছিল ছাত্রবঙ্গ করতে জল কামান ব্যবহার করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এরপর পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি এবং বচসা হলে শুরু হয় লাঠিচার্জ। এরপর পুলিশ কাদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। সাতরাগাছিতে এমন হতে পারে এই আশঙ্কাকে আগে থাকতেই আজ সকালে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ঝালাই করে রাস্তায় পুঁতে দেওয়া হয়েছিল গার্ডরেল।
সাঁতরাগাছি বাদেও লালবাজার দিয়ে চোরাপথে নবান্ন পৌঁছাতে চাইলে বিজেপির মিছিলের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় পুলিশ বাহিনী। বিজেপি কর্মীদের ইটবৃষ্টির জবাবে কাদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে পুলিশ। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার হাওড়া ময়দানে বঙ্গবাসী মোরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়ে সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে এবং তারা পাথর ও বোমা নিক্ষেপ করছে। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার অবস্থান-বিক্ষোভে বসে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে স্লোগান দিচ্ছেন, “পিসি চোর, সবাই চোর”।