নব্বইয়ের দশকের সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। তার নামের সাথে যুক্ত রয়েছে বিশ্বসুন্দরীর তকমা। মিডিয়াতে কোনো না কোনো কারণে চর্চায় থাকেন এই অভিনেত্রী। একটা সময় একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন নিজের দর্শকদের। বর্তমানে বড়পর্দা থাকে বেশ কিছুটা দূরে থাকলেও নিজের দাপট আগের মতোই বজায় রেখেছেন তিনি, তা নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। পর্দায় একঝলক তাকে দেখার অপেক্ষায় থাকেন তার অগণিত ভক্তরা।
তবে সম্প্রতি নিজের একটি পুরনো বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরেই চর্চায় উঠে এসেছেন অভিনেত্রী। ১৯৯৩ সালে পেপসির বিজ্ঞাপনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা মিলেছিল তার। আমির খান ও মহিমা চৌধুরীর সাথেই স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন তিনি। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দর্শক মহলের নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বিজ্ঞাপনের শুরুতেই দেখানো হয়েছিল আমির খান দাবা খেলছেন। এরপরেই তার প্রতিবেশী মহিমা চৌধুরী এসে তার কাছে পেপসি চান। তার বাড়িতে পেপসি শেষ হয়ে যাওয়ায় অভিনেতা জানলা দিয়ে নীচে নেমে গাড়ির উপর দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে দোকান থেকে পেপসি নিয়ে আসেন। এরপরেই তার বন্ধু সঞ্জু অর্থাৎ সঞ্জনা এসে দাঁড়ায়। তার ঐ কয়েক সেকেন্ডের উপস্থিতিই এই বিজ্ঞাপনকে এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল।
অবশ্য তখনও তিনি মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জেতেন নি। তবে মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে তিনি যে উপযুক্ত বিজয়ী ছিলেন, তা অবশ্য সেইসময় মেনেছিলেন সকলেই। কারণ শুধুমাত্র সৌন্দর্যের দিক দিয়েই নয় বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়েও তিনি ছিলেন তুখর। তার হাত-ভাব চলন-বলন সবটাই ছিল নজরকাড়া।
তবে এই মুহূর্তে ২৯ বছরের পুরনো এই সফট ড্রিংসের বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরেই নেটমাধ্যমে চর্চায় রয়েছেন তিনি। মহিমা চৌধুরী ও আমির খানের মতো বড় বড় তারকাদের সাথে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের স্লটে স্ক্রিন শেয়ার করার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। তার রূপ, ফিগার, উপস্থিতি সবটাই নজর টেনেছিল দর্শকদের। এরপর মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতে বলিউডে পা রেখেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বর্তমানে তিনি বচ্চন বাড়ির পুত্রবধূ। আপাতত, বড়পর্দা থেকে দূরে থাকলেও স্বামী অভিষেক বচ্চন, মেয়ে আরাধ্যা ও নিজের পরিবারকেই সময় দিচ্ছেন তিনি।