ইতিমধ্যেই দুর্গা পুজোতে অনুদান নিয়ে সারা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। একদিকে যেমন রাজ্য সরকার রাজ্যের বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে অনুদান দিতে পারছে, কোন দিকে সেই রাজ্য সরকারই তাদের কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে পারছে না। ৬ শর্তে ক্লাবগুলিকে দুর্গাপূজার অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে সায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ একদিক থেকে দেখতে গেলে কলকাতা হাইকোর্টে জয় হল রাজ্য সরকারের। তবে তার পাশাপাশি এই জয়ের ফলে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর রাস্তাও কিছুটা প্রশস্ত হলো বলে মনে করছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
তবে কিভাবে এই মহার্ঘ ভাতা মেটানোর ক্ষেত্রে দুর্গাপূজার অনুদানের মামলার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে? বিষয়টি নিয়ে কনফিউডেশন অফ স্টেট গভরমেন্ট এমপ্লই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলছেন, “আমরা তথা সরকারি কর্মচারীদের এটাই চেয়েছিলাম যাতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি হাঁড়ির হাল খারাপের যুক্তি আর ধোপে টিকবে না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতীতে একাধিক বার জনসভায় রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ধুকছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে পুজো অনুদান মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রাজ্যের তরফে দাবী করা হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা এবং পুজার অনুদান দুটি বিষয় সম্পূর্ণরূপে আলাদা। এই দুটিকে কোনভাবেই একসাথে টেনে আনা যায় না। যে জনস্বার্থ মামলাগুলিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে পারছে না নবান্ন, সেখানে কিভাবে পুজোর অনুদান দিতে পারবে? সেই মামলা শুনানিতে রাজ্যের দাবি ছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি নেই।
তবে ইতিমধ্যেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদান নিয়ে রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। গত শুক্রবার রাজ্য সরকার এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সবার জবাব শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এখনো পর্যন্ত এই মামলার রায়দান না হলেও, এই রায়ের উপর যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ অনেকখানি নির্ভর করছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।