নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চলা মেট্রো রুটের প্রথম অংশ অর্থাৎ নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোর পর্যন্ত অংশের মহড়া দৌড় পুজোর আগেই সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দিলেন মেট্রোর আধিকারিকরা। ট্রেন চালানোর জন্য যে নূন্যতম প্রস্তুতি প্রয়োজন হয় তার এখনো অনেকখানি বাকি রয়েছে এবং সেই কারণেই এই ট্রায়াল রান করার জন্য আরো মাসখানেক সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আপাতত জোকা থেকে বিবাদীবাগ মেট্রোর একাংশে পরিষেবা শুরু করার উপরে বেশি জোর দিতে চলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে নয় কিলোমিটার মেট্রোপথে ছয়টি স্টেশন ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। ওই দূরত্বে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পুজোর আগেই ওই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের কাছে পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানাতে পারে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই এই পথে মেট্রো চালু হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
মেট্রো সূত্রে খবর নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার অংশের বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনো থার্ড রেল বসানোর কাজ চলছে। বিশেষত, কবি সুভাষ মেট্রো থেকে বিমানবন্দরমুখী মেট্রো প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে যে লাইন রয়েছে সেখানে থার্ড রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগের কাজ এখনো বাকি রয়েছে। নিউ গড়িয়া সংলগ্ন মেট্রো স্টেশন এর ভিতরে বাকি রয়েছে এখনো অনেক কাজ। দুই তলা মেট্রো স্টেশনের অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও এখনও পর্যন্ত পরিষেবা শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এখন শেষ হয়নি বলে জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো। এর ফলেই মেট্রো কর্তাদের কথায়, পুজোর আগে কোনভাবেই এই কাজ করা সম্ভব নয়।
পাশাপাশি মেট্রো কর্তারা জানাচ্ছেন, নিউ গড়িয়া স্টেশনে মহড়া দৌড়ের জন্য এখনই রেক নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে। এর ফলে পুজোর পরে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করে তবে মহড়া দৌড়ের প্রস্তুতি শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যেই প্রয়োজনীয় অংশে থার্ড রেল বসানো এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ করা হবে। সমস্ত কাজ মিটে গেলে অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে মহড়া দৌড় সম্পূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন মেট্রোর আধিকারিকদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে পরিষেবা শুরু করতে চলতি বছরের শেষ অর্থাৎ ডিসেম্বর মাস হয়ে যেতে পারে।